Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

৪ জনের যাবজ্জীবন

রায়পুরে মাদরাসার ছাত্রীহত্যা মামলা

লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মাদরাসা ছাত্রী রোজিনা আক্তারকে ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার দায়ে ৪ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেন কইলা ও আখি আক্তার রুমা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হুমায়ুন ও বাহার পলাতক রয়েছেন। এরমধ্যে বাহার শুরু থেকেই পলাতক। আর হুমায়ুন জামিনে গিয়ে পলাতক।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর এলাকার মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে কইলা, একই এলাকার আবদুল মতিনের মেয়ে আখি, দেনায়েতপুর এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে হুমায়ুন কবির ও উপজেলার বামমী ইউনিয়নের বামনী গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে মো. বাহার। এর মধ্যে হুমায়ুন ও বাহার পলাতক রয়েছেন। লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের পিপি জসিম উদ্দিন বলেন, ভিকটিমকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আসামিরা। আদালতে ঘটনাটি প্রমাণিত হয়েছে। এতে আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। আদালত সূত্র জানায়, নিহত রোজিনা রায়পুর পৌরসভার দেনায়েতপুর এলাকার বয়াতি বাড়ির মৃত সফিক মিয়ার মেয়ে ও হযরত খাদিজাতুল কোবরা নুরানী মহিলা মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। পরীক্ষা শেষে ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর বিকেলে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। এসময় সাবেক পৌরসভা কার্যালয় ভবনের সামনের সড়কে কথিত প্রেমিক আনোয়ার হোসেন কইলার সোর্স আখি অপেক্ষা করছিলেন। একপর্যায়ে ফুসলিয়ে আখি তাকে বাগানের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে কইলাসহ আরো তিন সহযোগী ছিল। একপর্যায়ে কইলা ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। সে প্রত্যখ্যান করলে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। পরে অন্যদের সহযোগীতায় গাছের সঙ্গে গলার ওড়না পেছিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাগানে লাশ ফেলে রাখা হয়। পরদিন দুপুরে স্থানীয় লোকজন লাশটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়। তার পরিবারের লোকজন এসে লাশটি সনাক্ত করে। এঘটনায় ছাত্রীর মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সূত্র জানিয়েছে, হত্যার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ১৭ ডিসেম্বর পশ্চিম কেরোয়া এলাকা থেকে আখি ও হুমায়ুন নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৬ সালের ১৮ জুন পুলিশ আদালতের মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ