বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
.সাগর-পাহাড় নিয়ে কক্সবাজারে চমৎকার পরিবেশ রয়েছে- প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিভাবে কক্সবাজার অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষনীয় এলাকা। সাগর-পাহাড় নিয়ে কক্সবাজারে একটি চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। তিনি বলেন, ৮০ কিমি সৈকত পৃথিবীর কোথাও নেই। একমাত্র কক্সবাজারেই আছে। একদিকে সাগর অন্যদিকে পাহাড় এর মনোরম দৃশ্য এই এলাকাটির উন্নয়ন হওয়া দরকার। এই চিন্তা থেকেই আমরা কক্সবাজারের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে যেন দাঁড়াতে পারে- এটাই আমরা চাই।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন,কক্সবাজার একটি আকর্ষনীয় পর্যটন এলাকা। সুযোগ হলেই বাবা আমাদেরকে কক্সবাজার নিয়ে যেতেন। উখিয়ার ছায়াঘেরা পথে হেঁটেছি। সৈকতে লাল কাকড়ার পেছনে অনেক ছুটাছুটি করেও ধরতে পারিনি। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল কক্সবাজারের উন্নয়ন করা। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ঘাতকরা স্বপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা করে সেই স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত করে। তিনি বঙ্গবন্ধু সহ তাঁর পরিবারের সকল সদস্য ও বিভিন্ন দুর্যোগে কক্সবাজার উপকূলে নিহত সবাইকে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু সমুদ্র শাসন আইন করে গিয়েছিলেন। এখন কক্সবাজারে একটি সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
কক্সবাজারকে একটি আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
এলক্ষ বাস্তবায়নে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহেশখালীতে একদিন কিছুই ছিলনা,এখন অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দ্বীপ গুলোতে বিশেষ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খেলাধুলার জন্য স্টেডিয়াম নির্মাণ ও পর্যায়ক্রমে উন্নত করা হবে।
মেরিন ড্রাইভ ইতোমধ্যে উন্মুক্ত
হয়েছে। এতে কক্সবাজার এর সৌন্দর্য বিশ্ববাসীর কাছে উন্মুক্ত হয়েছে। দেশের সব বিমানবন্দরের সাথে কক্সবাজার এর বিমান যোগাযোগ উন্নত করা হবে।
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ এগিয়ে চলেছে।
খুরুস্কুলে আশ্রায়ন প্রকল্পে একটি শু্ঁটকী হাব স্থাপন করা হবে।
লবণ চাষিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে আরো বেশী এবং উন্নত লবণ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হবে।
সেন্টমার্টিনকে আরো পর্যটক বান্ধব করা হবে।
প্রায় ২৫ মিনিট বক্তব্যের শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বেশী করে গাছ লাগানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি কউক চেয়ারম্যান লে.কর্ণেল (অব) ফোরকান আহমদকে ধন্যবাদ জানিয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
বুধবার সকালে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নতুন ভবনের পাশেই মুক্তিযোদ্ধা মাঠে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সকাল ১০ টায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন,কউক চেয়ারম্যান লে.কর্ণেল, (অব.) ফোরকান আহমদ। অনুষ্ঠানে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমদ ও সচিব শহীদুল্লাহ্ খন্দকার বক্তব্য রাখেন।
কউক চেয়ারম্যান লে.কর্ণেল, (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, কক্সবাজার উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে এসেছেন। কক্সবাজারকে একটি আধুনিক পর্যটন নগরী গঠনসহ সার্বিক উন্নয়নে আপনার সহযোগিতা অবয়াহত রয়েছে।
কুতুবদিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ৬শত ৯০.৯৬ বর্গ কিমি এলাকায় এই উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।
লালদিঘী, গোলদীঘি ও বাজার ঘাটা পুকুর সংস্কারের পর এখন ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে কউকের ১০ তলা বিশিষ্ট নিজস্ব ভবন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। বিগত ৬ মে ২০১৭ ইং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ভবনের কাজ কাজ উদ্বোধন করেছিলেন। কাজ শেষে আজ এই ভবনের উদ্বোধন হচ্ছে। এজন্য তিনি মহান আল্লাহর শুকরিয়া জানিয়ে প্রধামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, এমপি, উর্ধতন কর্মকর্তা এবং জেলার সহস্রাধিক মানুষ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কউক চেয়ারম্যান বলেন, কউকের এই ভবন কক্সবাজারবাসীর সম্পদ।
এই ভবন নির্মাণ থেকে বিভিন্ন খাতের খরচ বাঁচিয়ে ৪কোটি ৩১ লাখ টাকা সরকারি ফান্ডে ফেরত দেয়া হয়েছে। যা একটি বিরল ঘটনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।