বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘুম থেকে তুলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের হল সভাপতি মোমিন ইসলামের বিরুদ্ধে। গত সোমবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে হলের ৪২৬ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী জাবের হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের তৃৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থী ও হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে জাবের হোসেন ৪২৬ নম্বর কক্ষে ওঠেন। গত সোমবার রাত সাড়ে এগারো টায় ঘুম থেকে তুলে ওই শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী গিয়ে জোরপূর্বক তার বিছানাপত্র বেড থেকে নিচে ফেলে দেয়। অভিযুক্ত সবাই হল সভাপতি মোমিন ইসলামের অনুসারী বলে জানা গেছে।
জাবের হোসেন বলেন, গত সোমবার সাড়ে এগারোটার দিকে ছাত্রলীগের দশ বারোজন নেতা-কর্মী রুমে আসে। তখন আমি ঘুমে ছিলাম। আমাকে ঘুম থেকে তুলে আমার বিছানাপত্র বইসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফেলে দেয়। পরে তারা আমাকে বলে, এটা রাজনৈতিক সিট এখানে তুমি থাকতে পারবা না। এখনই সিট থেকে নেমে যাবে। এভাবে কথা বলতে বলতে তারা আমার জিনিসপত্র সব বের করে দিয়ে এপ্লাইড ম্যাথমেটিক্স ১৯-২০ সেশন এর একটা ছেলের জিনিসপত্র তুলে দেয়। পরে আমি আমার আবাসিকতার কার্ড দেখালে তারা বলে এসব কার্ড দেখিয়ে কোনো লাভ নাই। প্রভোস্ট তোমাকে উঠিয়েছে তুমি তার কাছে যাও। আমাদের কাছে বলে কোনো লাভ নাই।
জাবের আরও বলেন, ঘটনার পরে মোমিন ভাই আমাকে রুমে ডেকে পরে তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক সিট এই সিটের আশা তুমি করো না। রাজনৈতিক সিটে তুমি বরাদ্দ কেমনে পাও, তুমি এই সব কথা প্রোভোস্ট কে গিয়ে বলো। তখন আমি প্রোভোস্ট স্যারকে বললে, স্যার সেই ছেলেকে ডেকে বলে কিন্তু সে এখনও সিট ছাড়ে নাই। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হল সভাপতি মোমিন হোসেন বলেন,এই সিটটা পলিটিকাল সিট দীর্ঘদিন যাবত আমাদের দখলে ছিল। কিন্তু প্রভোস্ট স্যার নতুন করে সীট বরাদ্দ দিয়ে সেই শিক্ষার্থীকে তুলে দিয়েছেন। যে সব সিটে আমাদের পলিটিক্যাল নেতাকর্মীরা আগে থেকেই ছিলেন তাদেরকে সিট বরাদ্দ না দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সীট বরাদ্দ দিয়ে তুলে দিচ্ছেন। আমরা স্যার কে অনেকবার বলার পরও তিনি পলিটিক্যাল সিটগুলো এভাবে নতুন করে সীট বরাদ্দ দিচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো.জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ছেলেটার বিষয়ে জানি। কালকে রাত থেকে সমাধান করার চেষ্টা করছি। আমি নতুন ছেলের সাথে কথা বলেছি আমার চেষ্টা অব্যাহত আছে। আমি সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে আছি এবং তাদের যে কোন সমস্যা সমাধানে জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।