Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যশোরে চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতারণা

যশোর ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা মল্লিক পাড়ায় ননী ফল নার্সারির আড়ালে যৌন ও ক্যান্সার চিকিৎসা প্রতারণা ও অবৈধভাবে ঔষধ তৈরির দায়ে খন্দকার কবীর হোসেন নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদÐ দেয়া হয়েছে। এ সময় আরও ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস, ঔষধ প্রশাসন যশোরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৌম্য চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জেল ও জরিমানা করা হয়। একই সাথে বিপুল পরিমাণ অবৈধভাবে তৈরি কবিরাজি ঔষধ জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্ত খন্দকার কবির হোসেন সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে।

র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের খন্দকার কবির হোসেন কবিরাজ অনুমোদনবিহীন অবৈধভাবে কবিরাজি ঔষধ তৈরি করছে। এ সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য র‌্যাব-৬ নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ঔষধ প্রশাসনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার ছাতিয়ানতলা চুড়ামনকাঠি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় অনুমোদনবিহীন কবিরাজি ঔষধ তৈরি ও বিক্রয়ের অপরাধে ড্রাগ আইন অনুযায়ী খন্দকার কবির হোসেনকে এক লাখ টাকা জরিমানাসহ তিন মাসের কারাদÐ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, খন্দকার কবীর হোসেন চিকিৎসক পরিচয়ে সাধারণ মানুষের সাথে দীর্ঘদিন প্রতারণা করে আসছিলেন।

কবীরের চিকিৎসা প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে গতকাল তার ডেরায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় প্রতারণা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়া তিনি চিকিৎসক হিসেবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদÐ প্রদান করা হয়। সিভিল সার্জন আরও জানান, এছাড়া কবীরের চিকিৎসা কার্যক্রমের চেম্বার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ