পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি ও কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে তেমন কোনো উদ্যোগ ও তৎপরতা নেই। বর্তমান সরকার সেই কাজগুলোই হাতে নেয়, যেখানে তাদের নিজস্ব মুনাফা হয়, কমিশন পাবে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সরেজমিন হাওর পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কৃষক দল। বিএনপির মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল বিনামূল্যে কৃষকদের সার দেবে। ভোটের জন্য তারা মুখরোচক কথা বলেছিল। বিনামূল্যে সার তো দেয়নি, উল্টো কয়েকগুণ দাম বাড়িয়েছে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসার পরে কৃষিক্ষেত্রে কৃষকদের জন্য এক ধরনের কার্ড নির্ধারণ করেছিল, কিন্তু তা কৃষকের হাতে পৌঁছে দিতে পারেনি। এবার কৃষকদের জন্য কৃষি উপকরণ মেশিনও শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
আওয়ামী সরকার ভোটে নির্বাচিত নয় বলে জনগণের কাছে এদের কোনো জবাবদিহিতা নেই বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, তারা সবসময় ক্ষমতা পাকাপোক্ত ও নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে বলেই জনকল্যাণে কোনো কাজ করে না। যার ফলে তাদের শাসনামলে বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষি খাত সবসময় বঞ্চিত ও অবহেলিত, উপেক্ষিত থাকে। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা সবাই সবসময় বলে থাকি, কৃষি আমাদের মেরুদণ্ড, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে জিয়াউর রহমান, পরে খালেদা জিয়া ছাড়া কৃষি খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছর সুনামগঞ্জ জেলায় বাঁধ নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ ছিল ১২২ কোটি টাকা এবং গত ৫ বছরে এই টাকার পরিমাণ ছিল ৬২১ কোটি টাকা, যা বাঁধ রক্ষায় তেমন কোনো কাজে আসেনি। বরং এই বরাদ্দ করা টাকা ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী-এমপি, সরকারি কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই টাকা হরিলুট করেছে। যেসব বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে তা এতই দুর্বল যে, মাত্র ২৪ ঘণ্টার পানির চাপ সামলাতে পারেনি। প্রতি বছর এভাবে বাঁধ নির্মাণের নামে হাওর অঞ্চলে সরকারি অর্থ লুটের মহোৎসব চলে। এর ফলে কৃষকরা হয় সর্বস্বান্ত, অপরদিকে সরকারি দলের লোকজন ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা হয় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।
শুধু দেশের হাওর অঞ্চলই নয়, এই চিত্র দেশের সার্বিক কৃষি সেক্টরে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের আমলে সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজির কারণে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। অনিয়ম ও দুর্নীতি করার লক্ষ্যে যে ব্যক্তি যে ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত সেই বিবেচনা করেই সরকারের মন্ত্রণালয় ও নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও দাবি বিএনপির মহাসচিব।
সরকারি দুর্নীতিরোধ, হাওরের কৃষকদের দুর্দশা লাঘব ও শস্য নিরাপত্তা রক্ষায় কৃষক দলের পক্ষ থেকে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বছর বছর বাঁধ নির্মাণ না করে সিমেন্ট ও বালু দিয়ে তৈরি করা ব্লক ফেলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনা সুদে বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। ঋণগ্রস্ত কৃষকের ঋণের সুদ মওকুফ এবং স্বাভাবিক অবস্থা না ফেরা পর্যন্ত ঋণের কিস্তি নেওয়া বন্ধ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জারিফ তুহিন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।