বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে কয়েকবার ধর্ষণের অভিযোগে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেফায়েত হোসেন রনির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক নারী। অভিযুক্ত ধর্ষক রনি বরিশাল মহানগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বৌবাজার এলাকার রফিকুল ইসলাম মঞ্জুর পুত্র। ট্রাইবুনালের বিচারক মামলাটি গ্রহন করে পিবিআই’কে আগামী ১৬ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ।
এইচসিসি পাশ করা ধর্ষিতা নারী মামলায় অভিযোগে ৪/৫ মাস আগে তার সাথে অভিযুক্ত কাউন্সিলর রনির সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে রনি তরুনীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়। পরবর্তিতে তারা দুজনে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে যেত এবং বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে দেখা ও খাওয়া দাওয়া করত।
গত ৭ মে বিকেলে রনি ‘জরুরি কথা আছে’ বলে তরুনিকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে ‘শীঘ্রই তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে কয়েকবার ধর্ষণ করে’। ৮ মে রাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটি। পরবর্তিতে ধর্ষিতা তরুনী অভিযুক্ত রনিকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে রনি তরুনিকে বাসায় ডেকে নিয়ে মারধোর করে এবং তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাদের শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ডিলিট করে দেয়
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্ত রনি তরুনীকে বিয়ে না করে অজ্ঞাত নম্বর দিয়ে ফোন করে হুমকি দেবার অভিযোগ তুলে কাউনিয়া থানায় একটি সাধারন ডাইরিও করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত রনির সাথে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে সে জানায়, ‘আগামী নির্বাচনে তিনি যাতে জয়লাভ না করতে পারেন, সেজন্য তার সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রি মহল এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে’। তিনি ‘অভিযোগকারীকে চেনেন না বলে দাবি করে বলেন, তার বাড়ির চারদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা আছে। ইচ্ছে করলে যেকেউ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযোগকারী তার বাসায় এসেছে কিনা তা যাচাই বাছাই করতে পারবে’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।