বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভারত আমাদের গণতন্ত্রকে নষ্ট করেছে। নদীকে হত্যা করেছে। প্রাণ প্রকৃতি জীব বৈচিত্র্য সবকিছু পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে ফারাক্কা আর গজলডোবা দিয়ে। আমাদের দেশের উপর গজব নামিয়েছে। আমাদের সবকিছুর উপর দাদাগীরি করছে। এদের বন্ধুরা ক্ষমতায় রয়েছে। দেশে এখন চলছে কর্তৃত্ববাদী শাসন। এদের লুটপাটের কারণে মানুষ এখন ভিক্ষুকে পরিণত হচ্ছে। এদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর সময় নেই। ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গতকাল রাজশাহীতে ফারাক্কা লংমার্চের ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে ফারাক্কা লংমার্চ উদযাপন কমিটির উদ্যোগে রাজশাহীর পদ্মার তীরে লালনশাহ মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী যুগশ্রষ্টা ও দূরদর্শী সম্পন্ন মানুষ। আজ থেকে ৪৬ বছর আগে পাশের মাদ্রাসা ময়দান থেকে ফারাক্কার বিরুদ্ধে লাখো মানুষের লংমার্চ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত গিয়েছিলেন। লাখো কণ্ঠে আওয়াজ তুলছিলেন মরনবাঁধ ফারাক্কা ভেঙ্গে দাও। গুড়িয়ে দাও। তিনি রাজশাহীর এ রাস্তাটির নাম মওলানা ভাসানী সড়কের দাবী জানান।
তিনি বলেন, দেশে আজ সুশাসন নেই। দেশের অবস্থা বড় করুন। দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়ছে। টিসিবির লাইনে আজ মধ্যবিত্তরাও দৌড়াচ্ছেন। দেশের মানুষকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করেছে। সরকার দেশে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে। শুধু জামাত নয় আওয়ামীলীগও মানবতা বিরোধী অপরাধে দুষ্ট। সরকারের উদ্যোশ্যে বলেন কান পেতে শুনুন দেশের মানুষ আজ কত বিক্ষুব্ধ। মানুষ যে কোন সময় ক্ষোভে ফেটে পড়বে। মানুষের ধর্য্যর বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। পাশের দেশ.....শ্রীলংকার দিকে তাকিয়ে দেখুন এখানে কিভাবে জাতীয় বীর জাতীয় বেঈমান হয়ে গেলো। শ্রীলংকাকে দেখে শিখতে হবে। আমাদের সামনে কঠিন সময় আসছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামতে হবে। দেশ বাঁচাতে মানুষ বাঁচাতে ভারতের তাবেদারী থেকে রক্ষা পেতে এ কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। কল্যাণকর বাংলাদেশের যে স্বপ্ন মওলানা ভাসানী দেখতেন, বঙ্গবন্ধু দেখতেন সেই বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।
বিশিষ্ট নদী গবেষক ফারাক্কা লংমার্চ উৎযাপন কমিটির আহবায়ক মাহবুব সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী মু.ইনামুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক যোনায়েত সাকী, আজাদ খান ভাসানী, নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি এ্যাড. এনামুল হক, শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাবি অধ্যাপক জিএম শফি, ডা. ওয়াসিম হোসেন, জাহান পান্না, এ্যাড. মুরাদ মোর্শেদ,আবু ইউসুফ মো: সেলিম প্রমুখ।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী যোনায়েদ সাকী বলেন, ১৯৭২ সালে এক ব্যাক্তির শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এখন বিগত এক দশকের বেশী সময় ধরে ফের শুরু হয়েছে কতৃত্ববাদী শাসন। নির্বিচারে চলছে খুন, গুম। প্রতিবাদ করলে নিখোজ হয়ে যেতে হচ্ছে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই।
তিনি বলেন, ভারতের সাথে নতযানু পররাষ্ট্র নীতির কারনে পদ্মার ও তিস্তার পানির নায্য হিস্যা আদায় করতে পারেনা। জাতী আজ দুবৃত্তদের পালাবদলের ক্ষমতায়নের দু:শাসন থেকে মুক্তি চায়। এখনি সময় দুবৃত্তদের হাত থেকে দেশ ও জাতীকে রক্ষা করার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।