Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাগেরহাটে পৃথক ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

বাগেরহাট প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২২, ৭:৪০ পিএম

বাগেরহাটে পৃথক প্রতিবন্ধীতে ধর্ষণ ও কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৬ মে) দুপুরে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোঃ এসএম সাইফুল ইসলাম ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নুরে আলম আসামীদের উপস্থিতিতে পৃথক ভাবে এই আদেশ দেন।
রামপালে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৭) ধর্ষনের দায়ে রামপাল উপজেলার ইসলামগঞ্জ গ্রামের মৃত কাশেম ফকিরের ছেলে ইউনুচ ফকিরকে(৬৫) যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয় আদালত। একই সাথে আদালত আসামীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে।
অপরদিকে চিতলামরীতে জাকিয়া (১২) নামের এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অপরাধে কালিম শেখ (৩০) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডদেশ দেয় আদালত। একই সাথে আসামীকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করা হয়। কালিম শেখ চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের ঠান্ডা শেখের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবি অ্যাড. আফরোজা খাতুন জানান, রামপাল উপজেলার ইসলামগঞ্জ গ্রামের মৃত কাশেম ফকিরের ছেলে ইউনুচ ফকির ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীর মায়ের ফুফাতো ভাই। ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী ইউনুচ ফকির বেড়াতে আসে। এসময় বাড়িতে কেই না থাকার সুযোগে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীতে ধর্ষন করে। ঘটনার পরের দিন ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে রামপাল থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। ৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আদালত এই রায় ঘোষনা করে।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী ছিলেন, অ্যাড. রনজিৎ কুমার পাল।
অপর দিকে, ২০১২ সালের ১৮ মে বিকেলে জাকিয়াকে পাশ্ববর্তী কালিম শেখ তাল শ্বাস খাওয়াবে বলে বড়বাড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকার নাজির শেখের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে অনেক খোজাখুজি করে জাকিয়াকে না পেয়ে পরের দিন ভোরে ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে জাকিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৯ মে রাতে জাকিয়ার বাবা আব্দুল কাদের বাদী হয়ে কালিমকে আসামীকে করে চিতলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই একরাম হোসেন একই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। পরে মামলার দীর্ঘ শুনানী ও স্বাক্ষিদের স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে আদালত কালিমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অন্য তিনজনকে খালাস প্রদান করেন।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আদালতের রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আদালতের আদেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অপরাধীদের জন্য এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ