পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদেশগামী যাত্রীদের জিম্মি করে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো একটি চক্র। ওই চক্রের সদস্যরা বিদেশগামীদের কাছে নিজেদের কোভিড-১৯ হাসপাতালের চিকিৎসক, স্টাফ ও নার্স পরিচয় দিয়ে তাদের বিশ্বস্ততা অর্জন করতেন। পরবর্তী সময়ে যাত্রীদের কোভিড-১৯ এর ভুয়া সনদ দিয়ে হাতিয়ে নিতেন মোটা অঙ্কের অর্থ। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর বনানী থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সনদপত্র নিয়ে বিদেশগামী সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করা চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলো-জসিম উদ্দিন (২৮), মো. তারেকুল ইসলাম (২৬), মো. আলমগীর হোসেন (২০), মো. রিপন মিয়া (২৮), মো. আরিফুল ইসলাম (২০),আহম্মেদ হোসেন শাহাদাৎ (১৮) ও মো. শামীম হোসেন (৩০)। গতকাল উত্তরা র্যাব-১ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।
এসময় তাদের কাছ থেকে ভুয়া কোভিড-১৯ টেস্টের পজেটিভ ও নেগেটিভ সনদের ফটোকপি, বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদানে ব্যবহৃত দুটি সিমকার্ড, প্রবাসীদের তিনটি মোবাইল নম্বর সংবলিত টোকেন, একটি পেনড্রাইভ (যার মধ্যে আসামিদের চিকিৎসক, স্টাফ ও নার্স হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলক কথোপকথন রেকর্ডিং সংরক্ষিত রয়েছে), প্রতারণার নগদ ৪১ হাজার ৮৬৯ টাকা, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের একটি এটিএম কার্ড এবং আটটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১ এর সিও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিদেশগামী সাধারণ যাত্রীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার নেগেটিভ সনদপত্র একটি আবশ্যিক বিষয়। যেসব বিদেশগামী যাত্রী কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ প্রদর্শন করতে পারবেন না বিদেশযাত্রায় তাদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বিদেশগামী সাধারণ যাত্রীদের এ দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একটি প্রতারক চক্র বেশ কিছুদিন ধরে বিদেশগামীদের জিম্মি করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এ বিষয়ে র্যাব-১ প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে দ্রুততার সঙ্গে ছায়া-তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর মহাখালী কোভিড-১৯ হাসপাতালের সামনে বিদেশগামী যাত্রীদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহের উদ্দেশ্যে প্রতারক চক্রের কয়েকজন সদস্য অবস্থান করছেন, শনিবার দিবাগত রাতে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, বিদেশগামী যাত্রীদের জিম্মি করে করোনার সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কথা বলে বিভিন্নভাবে তাদের প্রলুব্ধ করা হতো। এরপর প্রতারণামূলকভাবে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো চক্রটি। গত কয়েক মাসে চক্রটি বিদেশগামী যাত্রীদের কাছ থেকে এভাবেই কোটি কোটি হাতিয়ে নেয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে একে অন্যের সহযোগিতায় রাজধানীর বনানীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিদেশগামী যাত্রীদের কোভিড-১৯ এর সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানের কথা বলে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে তাদের কাছ থেকে প্রতারণামূলকভাবে টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।