Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হালদায় দ্বিতীয় দফায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হ্যারিটেজ চট্টগ্রামের হালদা নদীতে দ্বিতীয় দফায় নমুনা ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে নদীর নয়াহাট, নাপিতের ঘাটা, আমতুয়া, রামদাশ হাট অংশে এ নমুনা পাওয়া গেছে ডিম সংগ্রহকারীদের জালে। সরেজমিনে দেখা গেছে, হালদা নদী জুড়ে শত শত ডিমসংগ্রহকারী ডিম ধরার নৌকা, বাঁশের ভোরকা, বালতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ডিম সংগ্রহে ব্যস্ত। তবে সব জালে ডিম আসলেও তা অল্প পরিমাণ। অনেকে তা বালতি কিংবা বাঁশের ছাঙ্ক এ সংরক্ষণ করলেও পরে তা নদীতে ফেলে দেন।
ডিম সংগ্রহকারী কামাল সওদাগর বলেন, আমার আটটি নৌকায় এক কেজি ডিম সংগ্রহ করলেও তা নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। হঠাৎ পুরোদমে ডিম ছাড়লে এ সামান্য ডিমের পরিচর্যায় ব্যঘাত ঘটবে। এখানে বৃষ্টি না হলেও মানিকছড়ি, খাগড়াছড়ি কিংবা পাতাছড়িসহ হালদা লাগোয়া সেসব এলাকায় ভারি বর্ষণের পানি হালদা নদীতে প্রবেশ করলেও ডিম ছেড়ে দিত কিন্তু প্রবাহিত পানি ফটিকছড়ির রাবার ড্রামের কারণে বাধাগ্রস্থ হওয়ায় তার সুফল হালদা পাচ্ছেনা।
ডিম সংগ্রহকারী শফি জানান, তেরটি বাঁশের ভোরকা ও সাতটি নৌকার বিশটি জালে প্রায় ১২ কেজি ডিম সংগ্রহ করে মাছুয়াঘোনা হ্যাচারীর কুয়ায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। এদিকে ডিম সংগ্রহকালে সরকারি হ্যাচারী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলম হালদা নদী পরিদর্শন করেন। অপরদিকে ডিম সংগ্রহের সময় হালদা নদীর উত্তর মাদার্শা রহমতঘোনা এলাকা থেকে মা মাছ ধরার তিনশ বড়শিসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও নৌকাসহ নির্মল বল্লভ নামে এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এখনো হালদার পাড়ে অপেক্ষামান রয়েছে ডিম আহরণকারীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ