Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আদমদীঘিতে বিক্রি হওয়া ওএমএসের চাল গুদামজাত করার অভিযোগ

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা ধান থেকে চাল উৎপাদন করে চুক্তি মোতাবেক বরাদ্দকৃত চাল সরকারি গুদামে সরবরাহের নিয়ম থাকলেও কতিপয় মিল মালিক নিয়ম উপেক্ষা করে বাজার থেকে সরকারে হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা ওএমএস, ভিজিএফের চাল ৩০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করে গুদামজাত করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়,চলতি বোরো মৌসুমের সরকারের চাল সংগ্রহ অভিযানের সময় ওই চালগুলো স্থানীয় গুদামে সরবরাহ করা হবে।
জানা যায়, স্থানীয় পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সরকারিভাবে দরিদ্রদের মাঝে ওএমএস, ভিজিএফ, সরকারে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ করা হয়। চালগুলো মোটা এবং গন্ধ লাগায় অনেকেই হাটে-বাজারের দোকানে এবং ফড়িয়াদের কাছে ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দেয়। পরে কতিপয় মিল মালিক সেগুলো ৩০ টাকা কেজি দরে কিনে গুদামে মজুত করছেন। এছাড়াও খাদ্য বিভাগের ট্রাকসেল ডিলাদের দোকানে সবার জন্য ৩০ টাকা কেজি অবিক্রিত চাল বিভিন্ন ব্যক্তির নাম বসিয়ে টিপ ও স্বাক্ষর দিয়ে প্রতিদিন ডিলারদের দোকান থেকে অবিক্রিত চাল ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে কিনেন ওই মিল মালিক। স্থানীয় একাধিক মিল মালিক জানান, প্রতি বছর এলাকার বিভিন্ন মিলাদের নিকট থেকে সরকারি চাল সংগ্রহ অভিযানে ওই ব্যাক্তি অন্য মিলের বরাদ্দ কিনে বাজার থেকে মোটা ও নিম্নমানের চাল ক্রয় করে স্থানীয় গুদাম কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে গুদামে সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এবিষয়ে আধমদীঘি উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা মিল মালিকদের নিকট থেকে কোন প্রকার পুরাতন বা নিম্নমানের চাল গ্রহণ করবো না। কোন মিল মালিক অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বাজার থেকে চাল কিনে সরকারি গুদামে সরবরাহের জন্য মজুত করে থাকলে তাদের আশা সফল হবে না ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ