Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

লন্ডনে বসে রিমোট কন্ট্রোলে হুমকি দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না- কৃষিমন্ত্রী

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২২, ৬:৪৮ পিএম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষি মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার অবর্তমানে যিনি বিএনপি চালাবেন সেই তারেক রহমান লন্ডনে বসে ভোগ বিলাস করছেন, রিমোট কন্ট্রোলে দল চালাচ্ছেন, আর সেই রিমোট কন্টোলে হুমকি দিয়ে আওয়াজ তুলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’ ক্ষমতায় আসতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষের দুঃখ কষ্টের সাথি হতে হবে। তাছাড়া ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

রোববার নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের পাঙ্খার বাজার এলাকায় বিএডিসি খামারে সয়াবিন, ভুট্ট ও সূর্যমূখী মাঠ পরিদর্শন শেষে কৃষক ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা গুলো বলেন মন্ত্রী। পরে তিনি সুবর্ণচরের কৃষি সম্ভবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

আবদুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো পর্দার অন্তরালে ষড়যন্ত্র করে নীল কুঠি, লাল কুঠিতে বসে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা আসে না। আমাদের ভিত্তি জনগণ, আমরা জনগণকে নিয়ে এগুচ্ছি, জনগণ যদি আমাদের প্রত্যাখান করে আমরা চলে যাব এটা নিয়ে আমাদের কোন দুঃখ নেই।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব, ইয়াহিয়ার স্বৈরশাসন, স্বৈরাচার জিয়া কোথায় গেছে তাও আপনারা জানেন, এরশাদের স্বৈরশাসনের পতনও আপনারা দেখেছেন। বঙ্গবন্ধু এসবকে কখনও ভয় পাননি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমরাও কোন হুমকিকে ভয় পায় না। বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই। ওরা আর কোন দিনই বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না। জনগণকে আমরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও উন্নয়ন দিয়েছি। জনগণ যদি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করে, আমরা ক্ষমতা থেকে চলে যাব।

তিনি আরও বলেন, বিরোধী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় আসার জন্য হুংকার দিতেই পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছুই না। আমরা দেখেছি, ২০০৯ সাল থেকে বিরোধীদল আন্দোলনের নামে এসব কাজ করেছে। ২০১৪সালে নির্বাচন বানচাল করার জন্য হরতাল অবরোধ, লুন্ঠন-গাড়ি পোড়ানো ও মানুষ হত্যা করেছে। একটানা ৯২দিন হরতাল অবরোধ করেও জাতীয় নির্বাচন ভুন্ডুল করতে পারেনি। এরা আন্দোলনের নামে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুঁড়িয়েছে। রেল লাইন ওপড়ে ফেলেছে। বর্বরতা আর পৈশাচিকতা গণতন্ত্র নয়। নির্বাচনই ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র গণতান্ত্রিক পথ। দলীয় সভা নেত্রীর নির্দেশ মোতাবেক প্রস্তুতি নেন, জনগণের কাছে যান। আমাদের সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ-পানির ব্যবস্থা করেছে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পুল-কালভাট, সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন কোনটিই অবশিষ্ট রয়ে যায়নি। চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতুও নির্মিত হয়েছে। যা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উম্মুক্ত করা হবে।

এরআগে সকালে সুবর্ণচরে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কৃষির আধুনিক প্রযুক্তি বিস্তারের জন্য এবং অবহেলিত দুর্গম এলাকার জনগণকে উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত করতে সকালে পরিদর্শন করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ