প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ভারতীয় বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে মারা গেছেন। প্রেমিকের সঙ্গে তিনি যে ফ্ল্যাটে থাকতেন, সেখান থেকেই রোববার (১৫ মে) তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার এমন রহস্যজনক মৃত্যুর পর নানান তথ্য উঠে আসছে গণমাধ্যমে। পল্লবীর আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকাহত তার সহকর্মীরা।
প্রাথমিক তদন্ত সেরে পুলিশ জানিয়েছে, বিছানার চাদর দিয়ে পল্লবীর গলায় ফাঁস লাগানো ছিল। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন কিনা, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। কোনো সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর ঘণ্টাখানেক আগেও নেটমাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন পল্লবী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত দেড় মাস ধরে এক যুবকের সঙ্গে কলকাতার গড়ফা এলাকায় বসবাস করতেন পল্লবী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে বিয়ে করেননি। এর আগে তারা হাওড়ায় থাকতেন। রোববার (১৫ মে) সকালে সিগারেট খেতে বাইরে গিয়েছিলেন পল্লবীর সঙ্গী। এরপর ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকতেই তিনি পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তাৎক্ষণিক পুলিশে খবর দেন তিনি। এরপর পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার থেকে পল্লবী ও তার সঙ্গীর মধ্যে কয়েকবার কথাকাটাকাটি হয়েছিল। তবে কী নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য, ‘আমি সিরাজের বেগম’ সিনেমায় লুৎফা-র চরিত্রে অভিনয় করে নজর কাড়েন পল্লবী। এর আগে তিনি ‘রেশম ঝাঁপি’ ধারাবাহিকেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ করেছিলেন। বর্তমানে ‘মন মানে না’ নামে একটি ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। কিন্তু তার আকস্মিক মৃত্যুতে সেই ধারাবাহিকের ভবিষ্যত আপাতত অনিশ্চিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।