Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বরিশালের জেল খালে পঁচা রসুনের বস্তা

দূষিত পানিতে মাছের পাশাপাশি এলাকার পরিবেশও বিপন্ন

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২২, ৫:৪৯ পিএম | আপডেট : ৮:২৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২২

বরিশাল মহানগরীর পেঁয়াজ পট্টির কতিপয় বিবেকহীন ব্যবসায়ীর অসৎ কর্মকান্ডে জেল খাল ও সংলগ্ন কির্তনখোলা নদীর পানি মারাত্মকভাবে দুষিত হচ্ছে। এতেকরে খাল সহ কির্তনখোলা নদীর একটি বড় অংশের মাছের জীবন পর্যন্ত বিপন্ন। গত কিছুদিন ধরে কতিপয় অসত ব্যবসায়ী দাম বাড়ানোর আশায় ধরে রাখা গত বছরের রসুন বিক্রী করতে না পেড়ে অবাধে পেয়াজ পট্টি সংলগ্ন জেল খালে ফেলে দিচ্ছে।

ফলে এসব পঁচা গলা রসুনের দুষিত বাস্পে জেল খালের পানি আরো দুষিত হয়ে পড়ছে। বস্তা বস্তা রসুনের দুষিত বাস্পে এখালে আর কির্তনখোলা নদী থেকে কোন মাছ প্রবেস করা দুরের কথা, ভাটার সময় খালের দুষিত পানি কির্তনখোলা নদীতে প্রবাহিত হয়ে সেখানের মাছের জীবনও বিপন্ন। জেলখালে যে সামান্য মাছের বিচরন ছিল, ইতোমধ্যে সেখানেও মড়ক লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
শুধু পঁচা রসুনই নয় জেলখালের পোর্ট রোড ব্রীজের পাশের ফলের আড়তগুলো থেকে গত কয়েকদিন ধরে পঁচাগলা তরমুজ অবাধে খালে ফেলা হচ্ছে। ফলে নগরীর অন্যতম বৃহত জেলখালের দুষিত পানি ইতোমধ্যে এ নগরীর সুস্থ নাগরিক জীবনের জন্য ক্রমশ হুমকি হয়ে উঠেছে।
মহানগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যাবস্থার অন্যতম পথ জেলখালটি গত এক দশকের বেশী সময় ধরে নুন্যতম কোন সংস্কার বা রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে মৃতাপ্রায়। ইতোপূর্বে একজন জেলা প্রশাসক এ খালের সংস্কারের নামে বহুবার ঘটা করে নানা অনুষ্ঠান সহ ফটো সেসনের আয়োজন করেন। এমনকি খালটি সংস্কারের অনেক মহড়া পর্যন্ত প্রত্যক্ষ্য করেছে নগরবাসী। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। মৃতপ্রায় জেল খালটি যেভাবে ছিল এখন তার চেয়েও আরো বিপন্ন।
তবে সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জেল খাল সহ নগরীর ৭টি খালের সংস্কার করে প্রবাহ সৃষ্টি সহ দু পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মানের সাথে নগরবাসীর চিত্ত বিনোদন ব্যাবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। দরপ্রস্তাবগুরো ইতোমধ্যে মূল্যায়নের পর্যায়ে রয়েছে।
কিন্তু কতিপয় বিবেকহীন ব্যবসায়ীর অসত কর্মকান্ডে জেলখালটি বিপন্ন পরিবেশ নগরীর সুস্থ নাগরিক জীবনকেই ইতোমধ্যে বিপন্ন করে তুলেছে। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর ও নগর ভবনের সাথে রোববার যোগোযোগের চেষ্টা করেও সরকারী ছুটির কারণে তা সম্ভব হয়নি। পেয়াজপট্টির একাধিক ব্যাসায়ীর সাথে কথা বলা হলেও কেউ এঘটনার বিষয়ে মুখ খোলেন নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ