Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফারাক্কা দিবস পালন করবে লংমার্চ উদযাপন কমিটি

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২২, ১:৪৯ পিএম

ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে ১৬ মে রাজশাহীর পদ্মার তীরে লালনশাহ মুক্তমঞ্চে গণজমায়েতের আয়োজন করেছে ফারাক্কা লংমার্চ উদযাপন কমিটি। আজ দুপুরে নগরীর একটি রেস্তরায় সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানান গণজমায়েতে উপস্থিত থাকবেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মোস্তফা জামাল হায়দার চেয়ারম্যান জাতীয়পাটী (কাজী জাফর)। প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক সাবেক মহাপরিচালক পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা। এ্যাড. আবুল কাশেম সভাপতি রাজশাহী জেলা আইনজীবী সমিতি। যোনায়েদ সাকী প্রধান সমন্বয়কারী গণসংহতি আন্দোলন। এ্যাড. হাসনাত কাইয়ুম প্রধান সম্বনয়কারী রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও সমন্বয়ক জাতিসংঘ পানি প্রবাহ করভেনশন বাস্তবায়ন আন্দোলন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু মহাসচিব ভাসানী অনুসারী পরিষদ। শেখ রোকন মহাসচিব রিভারাইন পিপল। সাইফুল খান ভাসানী সেক্রেটারী বিপ্লবী ওয়াকার্স পাটী। আজাদ খান ভাসানী। এ্যাড. এনামুল হক সভাপতি নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন বাংলাদেশ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করবেন ফারাক্কা লংমার্চ উদযাপন কমিটির আহবায়ক বিশিষ্ট গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন দাবীর কথা তুলে ধরেন ফারাক্কা লংমার্চ উদযাপন কমিটির আহবায়ক বিশিষ্ট গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী। ১৯৯৭ সালের জাতিসংঘের ‘কনভেনশন অন দ্যা ল’ অব নন নেভিগেশনাল ইউেিজস অব ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার কোর্সেসু আইনে স্বাক্ষর করতে হবে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে তাদের আগ্রাসী পানি নীতি পরিত্যাগ করতে হবে, পানি সমস্যা ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করা যাবে না। আর্ন্তজাতিক নদীর পানির সুষ্ঠ ব্যবহারের স্বার্থে নদী বিষয়ে ভারত, বাংলাদেশ, চীন, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে একটি আঞ্চলিক পানি ফোরাম গঠন কর, করতে হবে। বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিপন্নকারী ভারতের আন্ত:নদী সংযোগ প্রকল্প বন্ধ করার জন্য জাতিসংঘ ও সকল আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংস্থার সাহায্যে ভারতে উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। দেশের বিশিষ্ট নদী ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতামতের ভিত্তিতে অভ্যন্তরীন পানি নীতি প্রণয়ন কর-দেশকে মরুভূমি ও লবনাক্ততার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। পরিবেশের স্বার্থে সকল পুকুর-জলাশয় ভরাট বন্ধ করতে হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ফারাক্কার কারনে যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তার বিবরনও তুলে ধরেন। এরমধ্যে উত্তরাঞ্চলের দুইকোটি মানুষ সেচের পানির অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দক্ষিনাঞ্চলের চারকোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গঙ্গা কপোতাক্ষ প্রকল্পের বিশাল এলাকায় সেচ দেয়া সম্ভব্ হচ্ছেনা। প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে। ভূগর্ভস্ত পানির স্তর অনেক নীচে নেমে গেছে। ভূগর্ভস্ত পানিতে আর্সেনিকের বিষাক্ত প্রভাব সুন্দর বনের প্রায় সতেরভাগ নষ্ট হয়েছে। মাছের পরিমান হ্রাস পেয়েছে। এককালের প্রমত্ত পদ্মা সুকিয়ে মরা গাঙ্গে পরিনত হয়েছে। এর অন্তত ছত্রিশটি শাখা নদী কার্যত মৃত খালের রূপ নিয়েছে। সার্বিকভাবে প্রতি বছর পাঁচ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এই বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য ফারাক্কা বাঁধ ভেঙ্গে দেবার দাবিতে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ