রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সখিপুর ও পীরগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার ৫১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৭টি দাখিল মাদ্রাসায় আসন্ন এসএসসি/দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগামীকাল ১৯ নভেম্বর ফরম ফিলাপের শেষ দিন। শেষদিন শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপের শেষ দিন ধরে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৪/৫ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। ফলে অসহায়, দরিদ্র শিক্ষার্থীর পরিবারকে এত টাকা ফি দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপে মানবিক, বিজ্ঞান, বাণিজ্য শাখায় অনলাইনে ফরম পূরণ, যাতায়াত মিলিয়ে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকার বেশি লাগে না। অথচ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ৪/৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সখিপুর পিএম পাইলট মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. এমদাদুল হক বলেন, বোর্ড ফিসহ পরীক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাসের জন্য পৌর এলাকায় প্রতি বিষয়ে ১৫০ হিসেবে দুই মাসে প্রায় ৬ হাজার টাকা হয়। সেখানে আমরা দেড় হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা নিচ্ছি। সখিপুর মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এসএসসি ফরম পূরণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নেওয়া হচ্ছে। তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মফিজুল ইসলাম এসএসসি ফরম ফিলাপে কত টাকা করে নেওয়া হচ্ছে তিনি জানেন না বলে জানান।
পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবারে এসএসসির ফরম পূরণে মানবিক বিভাগের জন্য ১ হাজার ৬৯৫ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ১ হাজার ৭৮৫ টাকা বোর্ড ফি নির্ধারিত রয়েছে। সর্বমোট ১৪টি বিষয়ের প্রতি বিষয়ে ৮০ টাকা, ব্যবহারিকে ৩০ টাকা, ট্রান্সমিশন ৩৫ টাকা, মূল সনদ ১শ’ টাকা, শিক্ষা সপ্তাহ ৫ টাকা এবং স্কাউট ফি ১৫ টাকাসহ মোট ১ হাজার ৬৯৫ টাকা মানবিকে ও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য প্রতি বিষয়ে ব্যবহারিক অতিরিক্ত আরো ২৫ টাকা হারে মোট ১ হাজার ৭৮৫ টাকা নেয়ার নিয়ম থাকলেও বাস্তবচিত্র ভিন্ন। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ নামিদামি উচ্চ বিদ্যালয়ে কোচিং ফি, মডেল টেস্ট ও অন্যান্য ফি’র নামে ২৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। দশমৌজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার, হাতিবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী, শানেরহাট কে.জে. ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল গফ্ফার, আব্দুল্যাপুর জান মামুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জাহাঙ্গিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, ভে-াবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তরফমৌজা উচ্চ বিদ্যালয়, টুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছেন। এছাড়াও গুর্জিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, টুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, চৈত্রকোল উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, ভে-াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, পতœীচড়া উচ্চ বিদ্যালয়, কাদিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, খালাশপীর উচ্চ বিদ্যালয়, হলদিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, কাদিরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়,পতœীচড়া উচ্চ বিদ্যালয়, সন্যাসীর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, মাদারগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পানবাজার উচ্চ বিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোতেও অতিরিক্ত হারে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত সোমবার ফরম পূরণের শেষদিনে সবগুলো বিদ্যালয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। অবশ্য আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত জরিমানাসহ ফরম পূরণ করা যাবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রধান শিক্ষক জানান, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থেই সামান্য কিছু বেশি নেয়া হচ্ছে। এব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আল্হাজ মাহতাব হোসেনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিভাবক আমার নিকট অভিযোগ করেননি, তবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভুক্তভোগী অভিভাবকরা এব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে তদন্তসাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয়ও আইনানুগ ব্যবস্থ’া গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।