Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দর্শনা রেলস্টেশন দিয়ে অবৈধভাবে পেঁয়াজ আমদানির অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা রেলস্টেশন দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার ব্যাপারে গত ৫ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর কীভাবে ভারত থেকে ৪০ ওয়াগন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে তা নিয়ে আমদানিকারকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সি এন্ড এফ অ্যাজেন্ট ফিজা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী রায়হান জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোয়ালপাড়ার ইমরান মার্কেটের মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মাসুদ আলম ভারত থেকে ৪০ ওয়াগন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলে। সেই পেঁয়াজ ২/১ দিনের মধ্যেই ভারতের গেদে রেলস্টেশন হয়ে দর্শনা রেলস্টেশন দিয়ে দেশে ঢুকবে। যার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
দর্শনা রেলস্টেশনের সুপারেন্ডেন্ট মীর লিয়াকত আলী জানান, ভারত থেকে কী পণ্য আমদানি করা হয় তা আগেই আমাদের জানা সম্ভব হয়না। পণ্যবাহী ট্রেন দর্শনা রেলস্টেশনে পৌঁছানোর পর ওই ট্রেনের দায়িত্বরত ব্যক্তি আমাদের কাছে আমদানি করা পণ্যের কাগজপত্র হস্তান্তর করে। সেগুলো পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আমরা ওই কাগজপত্র দাপ্তরিকভাবে দর্শনা কাস্টমসে পাঠাই। দর্শনা কাস্টমস থেকে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এসে ট্রেনের ওয়াগন খুলে সেগুলো নিরীক্ষা শেষে তবেই ছাড়পত্র দেয়। তারপর আমদানিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এর ফলে আমদানি নিষিদ্ধ কোন পণ্যই দেশে প্রবেশ সম্ভব নয়।
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কাস্টমস সুপার শুভাশীষ কুন্ডু জানান, পেঁয়াজ আমদানি বিধিনিষেধের কোন দাপ্তরিক চিঠি আমাদের হাতে আসেনি। তবে পেঁয়াজ আমদানির ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিধিনিষেধের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এরই মধ্যে ভারত থেকে কোন পেঁয়াজের চালান দেশের অভ্যন্তরে ঢোকেনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন আমদানিকারক জানান, পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে সরকারিভাবে আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) দেয়া বন্ধ রয়েছে। আইপি না পেয়েও কীভাবে মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে তা আশ্চর্যের বিষয়। আমদানিকারকরা সরকারি বিধিনিষেধ না মানায় পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মাসুদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি প্রথমে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদািনর বিষয়টি আমলে না নিয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি জানলাম না, আর আপনি জেনে গেলেন যে, ভারতের গেদে রেলস্টেশনে পেঁয়াজের চালান দেশে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে। কথাগুলো বলে তিনি কল কেটে দেন। কিছুক্ষণ পর ফিরতি কলে জানান, আমি একজন আন্তর্জাতিক আমদানিকারক। সে কারণে সমস্ত নিয়মনীতি মেনেই আমাকে পণ্য আমদানি করতে হয়। ভারত থেকে পেঁয়াজ যখন দেশে ঢুকবে তখন আপনাকে আমি দর্শনায় নিয়ে যাবো এবং দেখিয়ে দেবো সঠিকভাবেই আমি পেঁয়াজ আমদানি করছি। এটা নিয়ে এত মতামাতির কারণ নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ