Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারী চিকিৎসককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, অভিযুক্ত খুমেক হাসপাতালের আরএমও’র বোন গ্রেফতার

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০২২, ৯:২৮ পিএম

শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মন্দিরা মজুমদারের আত্মহত্যার পর থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের আবাসিক কর্মকর্তা সুহাস রঞ্জন হালদারের কোনো হদিস মিলছে না। খুমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে ২ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত ছুটি নিয়েছেন তিনি। এরপর থেকে অনুপস্থিত রয়েছেন।

এদিকে, নারী চিকিৎসক মন্দিরা মজুমদারকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় সুহাস রঞ্জনের বড় বোন সিথি মনি হালদারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার (১৩ মে) গভীর রাতে তাকে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চটেরহাট এলাকার দুর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে আদালতে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক রবিউল হাসান বলেন, এপ্রিল মাসের শেষের দিকে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সুহাস রঞ্জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ ওঠে। ২৯ এপ্রিল থেকে অনুপস্থিত। ২ মে তার নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে ১১ মে পর্যন্ত ছুটির আবেদন করেন। খুমেক হাসপাতালের অপর আবাসিক কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার চক্রবর্তী তার এ ছুটির আবেদন গ্রহণ করেন। তার খোঁজ বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হচ্ছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মন্দিরা মজুমদার এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বাসায় থেকে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর আগে ওই চিকিৎসকের পিতা অসুস্থ হয়ে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হলে আবাসিক কর্মকর্তার সাথে পরিচয় হয। এরপর প্রেমের প্রস্তাব দিলে মন্দিরা সাড়া দেন। আবাসিক কর্মকর্তার সাথে সম্পর্ক গভীর থেকে গভীর হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক হয়। যেখান থেকে ফিরে আসা আর সম্ভব হয়নি মন্দিরার।

মৃতের পিতা প্রদীপ মজুমদার বলেন, সুহাসের বড় বোনের বাসায় গিয়ে তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো। অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান মন্দিরা। সবকিছু জেনে পিতা খুমেক হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা সুহাসের কাছে যান। সুহাস মৃতের পিতার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এক সময়ে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে মন্দিরাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয়। পরে সম্মানের ভয়ে মন্দিরা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখ সন্ধ্যায় বাসায় কেউ না থাকায় নিজ ঘরে ফ্যানের হুকের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। মেয়ের আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে পিতা সুহাস রঞ্জন হালদার ও বড় বোন সিথি মনি হালদারের নামে মামলা দায়ের করেন।

সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মমতাজুল হক বলেন, সুহাসের বোন সিথিকে মোংলা উপজেলার চটেরহাট এলাকার দুর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তার কাছ থেকে কোন তথ্য বের করা সম্ভব হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন আদালতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ