Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদালতে আওয়ামী লীগ কর্মী দেখিয়ে প্রত্যয়নপত্র

ধর্ষণের আসামিকে বাঁচাতে

ময়মনসিংহ ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২২, ১২:০৩ এএম

ময়মনসিংহে গণধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলার এক আসামিকে বাঁচাতে আদালতে আওয়ামী লীগের ‘কর্মী’ পরিচয়ে প্রত্যয়ন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার ২ নং কুষ্টিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি একই ইউনিয়নের রূপাখালী গ্রামের। প্রত্যয়নের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় সর্বমহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে আসামি পক্ষ আদালতে আওয়ামী লীগের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ও ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম খোকা।

মামলার বাদী বলেন, ২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে আমার কিশোরী মেয়েকে গণধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে স্থানীয় পাঁচ যুবক। কিন্তু আমার মেয়ে ভিডিও প্রকাশের ভয়ে বিষয়টি প্রথমে গোপন রাখে। কিছুদিন পর আসামিরা গণধর্ষণের ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেন। এতে ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে গেলে ওই বছরের ৩ মার্চ এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত রিপন, লিয়ন ওরফে লাবিব, আশিক, খোকন ও ছমিনকে গ্রেফতার করে। পরে ওই দিনই কোতোয়ালি মডেল থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে বাদী হয়ে আমি মামলা করি। ওই মামলায় চার আসামি প্রায় পাঁচ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পেলেও আসামি রিপন এখনও জেলে আছে।

এদিকে মামলা থেকে বাঁচাতে ঘটনার মূলহোতা আসামি লিয়ন ওরফে লাবিব আকন্দকে ২ নং কুষ্টিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ‘কর্মী পরিচয়ে’ আদালতে একটি প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। ওই প্রত্যয়নপত্রে ২ নং কুষ্টিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম শামসুল হক কালু ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুল সরকারের স্বাক্ষর রয়েছে। প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার সত্যতা স্বীকারও করেছেন কুষ্টিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম শামসুল হক কালু। তিনি বলেন, ওই ছেলের বাবা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। তিনি একটি প্রত্যয়নপত্র চেয়েছিলেন, তাই দিয়েছি। কিন্তু মামলার ঘটনাটি তখন আমি জানতাম না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. ফারুক হোসেন বলেন, তদন্ত করে বয়স কম পাওয়ায় আসামি লিয়ন ওরফে লাবিব আকন্দ, আশিক আকন্দ ও ছমিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে দোষীপত্র দাখিল করা হয়েছে। তবে বাদীর যদি ওই আসামিদের বয়স নিয়ে আপত্তি থাকে, তাহলে তিনি আদালতে আবেদন করতে পারেন। তখন আদালতের নির্দেশ পেলে পুনরায় আসামিদের বয়স যাচাই করার সুযোগ রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ