বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার ডুমুরিয়ায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ফলাফল কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, স্থানীয় এমপি’র মদদে তার পছন্দের ব্যক্তিদের নির্বাচনে সুকৌশলে বিজয়ী করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহি এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছেন সংক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। এ রিপোর্ট লেখার সময় (রাত ৯ টা) ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
সূত্র জানায়, খুলনার ঐতিহ্যবাহি এসিজিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেখ ফিরোজ আহমেদ। নির্বাচনে অংশ নেওয়া কয়েকজন প্রার্থী জানিয়েছে, ভোট কারচুপি করে পছন্দের প্রার্থীকে জিতিয়ে দিয়েছেন শিক্ষা অফিসার। এতে মদদ দিয়েছেন খুলনা-৫ আসনের এমপি, সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। যারা জিতেছেন তারা সবাই এমপির অনুসারী ও খুব কাছের লোক।
নির্বাচনে সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদের প্রার্থী মো: মোজাম্মেল শেখ বলেন, ভোট শুরু হওয়ার আগেই নির্বাচনের মাঠে গুঞ্জন উঠে স্থানীয় এমপির পছন্দের প্রার্থীরাই জিতবেন। শিক্ষা অফিসারকে তিনি সেই ভাবে বলে রেখেছেন। ফলাফলের পর দেখি সেই গুঞ্জন সত্যি হলো। একাধিক প্রার্থী অভিযোগ করেছেন শিক্ষা অফিসার ভোট গননার সময়ে এজেন্টদের সেখানে থাকতে দেননি। একজন এজেন্ট এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন শিক্ষা অফিসার।
বায়েজিদ নামে আরেক প্রার্থী বলেন, নির্বাচনের ফলাফল শীটে মোট ভোটার, কাষ্টিং ভোট, নষ্ট ভোটের কোন তালিকা নেই। শুধু কে কয়টা ভোট পেয়েছে, তা দেয়া আছে। এতে বোঝা যায়, শিক্ষা অফিসার দায়িত্ব অবহেলা করেছেন, নয় তো আগে থেকেই নির্দেশনা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের জিতিয়ে দিবেন বলে ঠিক করে রাখেন। তিনি বলেন, আমরা ভোট পুনরায় গণনার আবেদন করতে গেলে শিক্ষা অফিসার আমাদের হুমক-ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় এমপির মদদে পছন্দের ব্যক্তিদের জিতিয়ে দিয়েছেন। আর আমাদের হারিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেখ ফিরোজ আহমেদ বলেন, নির্বাচনে হেরে কয়েকজন প্রার্থী গুজব রটাচ্ছেন। ফলাফলে কোন কারচুপি করা হয়নি।
বিষয়টি জানতে স্থানীয় এমপি নারায়ন চন্দ চন্দ্রের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।