Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভিক্ষুক পরিবারকে হাসপাতাল থেকে টেনেহিঁচড়ে হাজতে প্রেরণ

৪ পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বসতভিটার জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলায় আহত ও ক্ষতিগ্রস্থ ভিক্ষুক পরিবারকে মামলায় জড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহতরা চিকিৎসাধীন থাকলেও তাদের আসামি করায় পুলিশ তাদের পিটিয়ে ও টেনেহিঁচড়ে হাসপাতাল থেকে হাজতে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার দুপুরে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুলিশের এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার জানান, সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসি বাজার এলাকার মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে ভিক্ষুক আব্দুল জলিল ২০ শতক জমিতে বসতভিটা বানিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। প্রতিপক্ষ মুজিবুর রহমান সম্প্রতি ওই জমি তাদের দাবি করায় দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে মামলা হলে আদালত আব্দুল জলিলের পক্ষে রায় দেয়। আদালতের আদেশ অমান্য করে গত সোমবার সকালে প্রতিপক্ষ মুজিবুর রহমান দলবল নিয়ে আব্দুল জলিলের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। আব্দুল জলিলের জামাতা চান মিয়া, মেয়ে জুলেখা বেগম ও ভাতিজা রানা মিয়া অভিযোগ করেন, তারা মামলা করতে গেলেও পুলিশ তাদের মামলা নেয়নি। উল্টো আব্দুল জলিলকে থানায় আটকে রাখা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতে উল্টো অভিযুক্তদের মামলা নিয়ে হাসপাতাল থেকে আটক করা হয়।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর রকিবুল হক বলেন, মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে আব্দুল জলিলসহ অন্যদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এরপর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় টেনেহিঁচড়ে আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে। পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হতো।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. দেবাশীষ রাজবংশী জানান, আহতদের চিকিৎসা চলাকালীনই পুলিশ হাসপাতাল থেকে রোগীদের ছাড়পত্র নিয়েছে। চিকিৎসাধীন আসামিদের যেভাবে আটক করা হয়েছে, তা অমানবিক বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে এই ভেবে সুচতুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর রকিবুল হক রাতেই এসআই আলতাফ হোসেন, এসএই সাইফুল ইসলাম, এসআই ওয়াজেদ ও এসএই মমতাজকে থানা থেকে ক্লোজ করে নেয়। কিন্তু ভিক্ষুক পরিবারের দাবি এসআইদের নয় সরিষাবাড়ী থানার ওসিকেই থানা থেকে ক্লোজড করা উচিৎ। কারণ টাকা ছাড়া সে কিছুই বুঝেনা। টাকা দিতে পারলে আমাদের মামলাটা তিনি আগে নিতেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ