Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দূর্নীতির অভিযোগে ময়মনসিংহে কুষ্টিয়া ইউনিয়নের দুই ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু, শুনানি ২৬ মে

ইকলিবারে সংবাদ প্রকাশের পর

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২২, ৫:৫০ পিএম

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ২নং কুষ্টিয়া ইউনিয়নের বালু মহালে অনিয়ম-দূর্নীতি ও ভূমি খাজনা-খারিজে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে বিজ্ঞ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের নির্দেশে কুষ্টিয়া ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান দুই উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী ২৬ মে এই তদন্ত কার্যক্রমের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

ওই উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তারা হলেন- কুষ্টিয়া ইউনিয়নের বর্তমান উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ মো: আবু তাহের ও সাবেক কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম (বর্তমানে তিনি গফরগাঁও উপজেলার পাইথল ইউনিয়নে কর্মরত)।

বুধবার (১১ মে) দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: এরশাদুল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এর আগে চলতি বছরের ২৪ মার্চ স্থানীয় আব্দুর রহমান ও আব্দুস সোবহান নামের দুই ব্যাক্তি জেলা প্রশাসকের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।

অভিযোগকারী আব্দুর রহমান ও আব্দুস সোবহান বলেন, কুষ্টিয়া ইউনিয়নের বেগুনবাড়ী চরদড়ি কুষ্টিয়া মৌজায় ৬০৬ খতিয়ানের দুটি দাগে ১১৩ একর ১০ শতাংশ ভূমি খাজনা-খারিজের জন্য আমাদের কাছে সাবেক উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম (বর্তমানে তিনি গফরগাঁও উপজেলার পাইথল ইউনিয়নে কর্মরত) এক লাখ ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন।

পরে বাধ্য হয়ে আমরা ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা দিলে উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম মোট ১১টি খাজনা রশিদ কাটে। এর মধ্যে আমাদের পক্ষে আ: রহমান গংদের নামে মাত্র ২ হাজার ৩ শত ৩১ টাকার একটি রশিদ দেয়। বাকি ১০টি রশিদ বেনামে প্রদান করে।

ভুক্তভোগীরা আরও জানায়, এ ঘটনায় রশিদে জমাকৃত টাকার বাদে বাকি টাকা ফেরত চাইলে উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম তালবাহানা করে আত্মস্বাত করে। ঘটনাটি নিয়ে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে ওই ভূমি কর্মকর্তাকে দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়।

কিন্তু উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম টাকা ফেতর না দিয়ে জেলা প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে উল্টো প্রতিবেদন দেয়। পরে ওই বছরই তাকে গফরগাঁও উপজেলার পাইথল ইউনিয়নে বদলী করা হয়।

এছাড়াও একই অভিযোগে কুষ্টিয়া ইউনিয়নের বর্তমান উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ মো: আবু তাহের
স্থানীয় বেগুনবাড়ী এলাকায় ৪টি বালু ঘাট অবৈধ ভাবে পরিচালনা করে কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ করা হয়। মূলত ওইসব অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এ তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা যায়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ