বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর বেনাপোল-ঢাকা রেলপথে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস'ট্রেনটি আবার চালু হলেও ইন্দোনেশিয়ার তৈরী উন্নতমানের কোচটি বদল করে সেখানে সংযোজন করা হয়েছে ভারতীয় পুরোনো ট্রেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ভারতগামী যাত্রীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা উন্নত সুযোগ–সুবিধাসংবলিত নতুন রেল কোচ দিয়ে এই সেবা চালু ছিল। করোনার কারণে গত দেড় বছর ট্রেনটি বন্ধ ছিল। নতুন করে এই ট্রেন চালু করার সময় নতুন কোচ বদল করে পুরাতন রেল কোচ দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেনাপোল-যশোরবাসী।
ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা নতুন রেল কোচটি আবার এই রেলপথে চালু করার জন্য গত ২৮ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন নাগরিক অধিকার আন্দোলন বেনাপোল-যশোর।
আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক নূর জালাল স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা দেশের মতো বেনাপোল-ঢাকা রেললাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্য সব রুটে ট্রেন চলাচল করলেও অজ্ঞাত কারণে এই রুটে দেরিতে হলেও গত ২ ডিসেম্বর ট্রেন চলাচল শুরু করা হয়। এরপর জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা আধুনিক সুবিধা–সংবলিত রেল কোচটির বদলে ভারত থেকে আমদানি করা বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস দিয়ে যশোর-বেনাপোল রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু করে, যা দেখে তাঁরা বিস্মিত হয়েছেন। এই পথে ভারত থেকে আগত পর্যটকেরা যাতায়াত করেন। দেশের অন্যতম লাভজনক রুট এটি। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ট্রেনটি আবার চালুর দাবি করা হয় স্মারকলিপিতে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা ট্রেনের কোচগুলো ছিল সম্পূর্ণ নতুন। ট্রেনটিতে ২টি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কামরা এবং ১টি কেবিন ছাড়া ৯টি শোভন চেয়ারের বগি ছিল। এই ট্রেনে ১০৬০টি আসন ছিল। ট্রেনটি এই রেলপথ থেকে সরিয়ে উত্তরবঙ্গে চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে এই রেলপথে ভারতের তৈরি পুরোনো ও জীর্ণ ৮ টি বগী সংবলিত ৭৮৩ আসনের একটি ট্রেন চালানো হচ্ছে। এতে একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কেবিন রয়েছে। আসনসংখ্যাও কম।
যাত্রী কবীর হোসেন বলেন, বেনাপোল একটি আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট। প্রতি বছর এ চেকপোস্ট দিয়ে লক্ষ লক্ষ দেশি বিদেশী পর্যটক ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত করে থাকে। এখানে উন্নত মানের রেল কোচ সরিয়ে ভঙ্গুর একটি রেল কোচ চালানো এতে দেশের মান ক্ষুন্ন হয়। এটি সরিয়ে ইন্দোনেশিয়ার আগের কোচটি সংযোজন করলে ভালো হয়।
ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা রেল কোচটি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের বেনাপোল স্টেশন ম্যানেজার শাইদুজজামান বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ট্রেনটির চাকাতে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় মেরামতের জন্য এই রুট থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এটি মেরামত করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। চাকা সংযোজনের পরে আবার এই ট্রেনটি বেনাপোল-ঢাকা রেলপথে চালানো হবে। আগের কোচটি মেরামত হয়েছে কিনা বা দেশের অন্য রুটে চলাচল করছে কিনা আমার জানা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।