Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরাজদিখানে ৬ শতাধিক টেটা-বল্লম উদ্ধার, কারাগারে ২০ জন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২২, ৯:৪৪ পিএম

হাউজিং ব্যবসা নিয়ে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের পর ৬ শতাধিক টেটা বল্লম‌ উদ্ধারের ঘটনায় ২০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে তাদের মুন্সীগঞ্জ আমলি আদালত-২ এ হাজির করা হলে বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে দুপুরে আটক ওই ২০ জনকে আদালতে প্রেরণ করে সিরাজদিখান থানার পুলিশ। গতকাল সোমবার (৯ মে) ভোরে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর, খাসকান্দী, চরপানিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।‌ তারা হলেন, হাজী আব্দুল বাতেন (৫৫), মো. দেলোয়ার (২৮), আরমান হোসেন (২৪), মো. মোবারক হোসেন (৫২), মো. মিরাজ হোসেন (২২), শাহজালাল (৩৬), কামাল (৪২), জামাল (৩৩), কাজল (২১), সমা মিয়া (৪৮), শরিফ হোসেন (৩০), তাহের মিয়া (৩৮), তৈয়ব আলী (৫২), সুজন (২৪), রূপচান মিয়া (৬৫), মো. নুরু মিয়া (৫৯), আসলাম হোসেন (২৬), রিপন (২৪), আঃ রব (৫৫) ও‌ আলাল (১৯)।

জানা গেছে, উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি, চরপানিয়া, চান্দের চর মৌজায় প্রায় ২০টিরও বেশি হাউজিং কোম্পানি আছে। এসব হাউজিং কোম্পানির জমি ক্রয়-বিক্রয়, মাটি ভরাটের টাকা ভাগবাটোয়ারা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি নিরাপদ সিটি হাউজিং কোম্পানি নিয়ে বাতেন গ্রুপ ও কামিজুদ্দিন কামু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে গত শনিবার (৭ মে) রাত সাড়ে ১০টায় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিরাজদিখান থানায় ৩টি নিয়মিত মামলা হয়। পরে সোমবার (৯ মে) ভোরে পুলিশ খাসকান্দি, পানিয়ারচর, চান্দেরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাজী আব্দুল বাতেনসহ ২০ জনকে আটক করে। এ সময় হাজী আব্দুল বাতেন এর বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ি‌ থেকে প্রায় ৬ শতাধিক টেটা-বল্লমসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

সিরাজদিখান থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক জানান, গত শনিবার (৭ মে) রাতে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসকান্দি গ্রামে জমিজমা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ৩টি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। আমরা বালুচর ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে নিয়মিত মামলার ২০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ