Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গজনী অবকাশ কেন্দ্রে প্রকৃতিপ্রেমীদের ভিড়

এস. কে. সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২২, ১২:০২ এএম

শেরপুরের ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ের ৯০ একর জমির ওপর গজনী অবকাশ কেন্দ্রে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। ঈদের পর প্রতিদিন গজনী পযর্টন কেন্দ্রে হাজারো প্রকৃতিপ্রেমীর পদভারে মুখরিত। পর্যটন ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা বলছেন- মৌসুমের শেষে ব্যবসায় লাভবান হচ্ছেন। দূর-দুরান্তের পযর্টকরা বেশী আসছেন বলে জানান, ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়াসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রকৃতিপ্রেমীদের ভিড়ে বনাঞ্চল ঘেরা গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র এখন মুখরিত। সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও পর্যটকের ঢল নেমেছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত ব্রিজ, ক্যাবলকার, জিপলাইনিং, হ্রদের পাশে বোট ক্লাব ও আনন্দপার্ক পর্যটন কেন্দ্রে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। রয়েছে পাহাড়ে সুদীর্ঘ ওয়াকওয়ে। পাহাড়ের স্পর্শ নিয়ে লেকের পাড় হেঁটে যাওয়া পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে। গারো মা ভিলেজেও ছোঁয়া লেগেছে নতুনত্বের। মাশরুম ছাতার নিচে বা পাখি বেঞ্চে বসে পাহাড়ের ঢালে উপজাতীয়দের বিচিত্র জীবনযাত্রা, দিগন্তজোড়া পাহাড়িদের ভিন্ন জীবনমান উপভোগ করার মত। শিশু দর্শনার্থীদের চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্কের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে শিশু কর্নার। প্রতিটি রাইডে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। চুকুলুপি চিলড্রেনস পার্ক সকাল থেকেই মুখরিত। শিশুদের ভিড় বাড়ায় পার্কের ফটকে লম্বা লাইন। পদচারণায় মুখরিত শিশুপার্কও। বিভিন্ন রাইডে চড়ে ও খোলামেলা পরিবেশে আনন্দে মেতে ওঠছে শিশুরা।
জামালপুরের সরিষাবাড়ি থেকে স্বস্ত্রীক আসা অব্দুল্লা আল মামুন মাসুদ বলেন, পর্যটন কেন্দ্রের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই আকৃষ্ট করছে। প্রকৃতি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। রয়েছে পাহাড়ি, টিলা আর সমতল ভূমিতে সবুজের সমারোহ। শাল, গজারি, সেগুন, ছোট-বড় মাঝারি টিলা, লতাপাতার বিন্যাস দারুণ উপভোগ করছি। কত সুন্দর অপরূপ চাদর মোড়ানো পাহাড়। পাহাড়ের পাশ ঘেঁষেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। ওহ! কি দারুণ মজা! পড়ন্ত বিকালে ছোট নৌকায় ঘুরতে রয়েছে লেক। নৌকায় চড়ে পাহাড়ে কফি আড্ডা আর গান অন্যরকম অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে। ঈদ উপলক্ষে ঘুরতে এসে গারো পাহাড় ও পর্যটন কেন্দ্রে তৈরি প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো মনে আনন্দ দিয়েছে। নতুন রাইডগুলো স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ী মিজান বলেন, বতর্মানে প্রচুর দর্শনার্থী আসছে। ফলে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হচ্ছি। পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশদারের ইজারাদার হান্নান সরকার বলেন, ছোট-বড় প্রায় তিন শতাধিক গাড়ি, মোটরসাইকেল এসেছে। ওইসব যানবাহনে হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটেছে। যেন গোটা পরিবেশই পাল্টে গেছে।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল, নিরাপত্তায় কোন সমস্যা নেই। পুলিশি টহল অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আল মাসুদ বলেন, উপজেলা প্রশাসন দর্শনার্থীদের নির্বিঘ্নে নিরাপদে ঘোরাফেরার জন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ দায়িত্ব পালন করছেন। শতভাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ