Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নেছারাবাদে স্ত্রী ও প্রেমিক ইউপি সদস্যকে আসামি করে মামলা দিল স্বামী

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২২, ৫:১৭ পিএম

নেছারাবাদ উপজেলায় সারেংকাঠি ইউনিয়নে সাহিদা আক্তার(৪১) নামে এক গৃহিনি স্বামী, তিন সন্তান ও নাতনী রেখে ইউপি সদস্য মো: আল-আমীন(৩২) এর হাত ধরে পালিয়ে গত তিন দিন ধরে তার ঘরে উঠে আছে। গত রোববার রাতে গৃহবধূ সাহিদা স্বামির ঘর থেকে দেড় লক্ষ টাকার স্বর্নালঙ্কার ও নগদ এক লক্ষ আশি হাজার টাকা নিয়ে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রেমিক আল-আমীনের ঘরে ওঠেন। এ ঘটনায় প্রেমিক ইউপি সদস্য আল-আমীন এবং গৃহবধূ সাহিদা বেগম(৩২) কে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত সোমবার (৯ মে) ওই সাহিদার স্বামী মো: বাবুল হাওলাদার বাদী হয়ে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নেছারাবাদ থানার অফিসার ইন চার্জ(ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেনকে তদন্ত করে তা ৬০ কর্ম দিবসের মধ্য জমা দিতে বলেছেন। আদালতের মামলা নং ৫৫৫/২২।

বাদীর মামলা সূত্রে জানাযায়, বাদী বাবুল হাওলাদার একজন সমিল ব্যবসায়ি। আসামি আল-আমীন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। সেই সুবাদে তিনি বাবুলের বাড়ীতে বিভিন্ন বিষয়ে খোজ খবর নিতে তাদের বাড়ীতে যেতেন। তার ঘরে তিন ছেলের দুইজন বিবাহিত। ঘরে একটি নাতনীও রয়েছে। ব্যবসার সুবাদে বাবুল হাওলাদার প্রায়ই সময় বাহিরে থাকতেন। তার সুযোগ ধরে আল-আমীন স্ত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে দু'জনে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হয়। তিনি স্ত্রীকে বুঝিয়ে পথে আনার চেষ্টা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ মে দুপুরে প্রতিবেশি জনৈক বেল্লালের ঘরে দু'জনে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হলে স্থানীয়রা ধরে ফেলেন। পরে তিনি স্ত্রীকে পূনরায় বুজিয়ে ঘরে নিয়ে যান। ঘটনার দিন রোববার(৮ মে) রাতে আল-আমীন পূনরায় বাদীর ঘরে আসলে স্ত্রী সাহিদা বেগম ঘরের টাকা পয়সা ও যাবতীয় স্বর্নালঙ্কার নিয়ে ইউপি সদস্য আল-আমীনের হাত ধরে পালিয়ে আল-আমীন তার ঘরে তোলেন।

নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বিষয়টি পুরোপুরি জানিনা কি হয়েছে। তবে শুনেছি এ নিয়ে কোর্টে মামলা হয়েছে। তার তদন্তভার দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে।

ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য সুচিত্রা রানি বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটা মিমাংসায় বসেছিলাম। ওই গৃহবধূ সাহিদা বেগম আল-আমীনকে বিয়ে করতে চায়। অথচ, ইউপি সদস্য আল-আমীন এখন রাজি নয়। গৃহবধূর দাবি আল-আমীন এখন তাকে বিয়ে না করলে তার আত্মহত্যার পথ ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। এর পর থেকে ইউপি সদস্য আল-আমীন সটকে পড়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটা মিমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। পরে তা সম্ভব হয়নি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ