বাগেরহাটের রামপালে তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণের মূলহোতাসহ ৮ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গত রোববার দিবাগত রাতে বাগেরহাটের রামপাল থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে- মো. আবুল কালাম আজাদ ওরফে শুকুর, মো. আসলাম শেখ, মো. জনি শেখ, মো. মারুফ বিল্লা, মো. হাসান শেখ, মো. রাসেল শেখ, মো. হোসেন গাজী ও মো. রাজু শেখ। সকলেই বাগেরহাট রামপালের ঝনঝনিয়া এলাকার বাসিন্দা।

গতকাল সোমবার সকালে র‌্যাব-৬ খুলনা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোসতাক আহমেদ জানান, গত রোববার রামপালে এক তরুণী গার্মেন্টস কর্মীকে পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় গার্মেন্টস থেকে ওই তরুণী বাড়ি ফেরার পথে ভাগা নামক স্থানে তার বন্ধু হৃদয় এর সাথে দেখা হয়। ভাগা হতে বন্ধুর সাথে চেয়ারম্যানের মোড় থেকে হেঁটে যাওয়ার সময় স্থানীয় মো. আবুল কালাম আজাদ ওরফে শুকুর ও মো. আসলাম শেখসহ তাদের সহযোগী ৭/৮ জন তাকে টেনে হিচড়ে পরিত্যক্ত মাদ্রাসা মাঠে নিয়ে যায়। এসময় হৃদয়কে তারা মারধর করে আটকে রাখে এবং ওই তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

তরুণীর ডাক চিৎকারের একপর্যায়ে ধর্ষকেরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তরুণী বিষয়টি তার মাকে ফোন করে জানায়। মা তাৎক্ষণিক ঘটনাটি র‌্যাব-৬ এ অবহিত করেন। ঘটনার পর থেকে আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র‌্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, গণধর্ষণ মামলার আসামিরা রামপাল থানা এলাকায় অবস্থান করছে।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৬ খুলনার একটি আভিযানিক দল বাগেরহাটের রামপাল থানা এলাকায় একাধিক অভিযান চালিয়ে আট আসামিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। আসামিদের বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।