পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চলচ্চিত্র শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বর্তমান সিনেমা হলগুলো সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং নতুন হল নির্মাণের জন্য সিনেমা হল মালিকদের স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদে ঋণ বা বিনিয়োগ অর্থায়নে একটি বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই স্কিম থেকে যে সব ব্যাংক পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা নিতে চায়, তাদের চলতি ৩১ ডিসেম্বরে মধ্যে আবেদন করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। গতকাল রোববার এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার বলছে, আবেদন করার সময়সীমা ৯ মাস বাড়ানো হয়েছে। এর আগের সার্কুলার অনুযায়ী ৩১ মার্চ মধ্যে আবেদন করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে এ টাকা। প্রথম ধাপে ৫০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। টাকা ব্যয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর দ্বিতীয় ধাপে আরও ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। প্রত্যেক গ্রাহককে প্রতিটি সিনেমা হলের জন্য ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধার নিশ্চয়তা অর্থায়নকারী ব্যাংক নির্ধারণ করবে। কিন্তু কোনো সিনেমা হলই ৫ কোটি টাকার বেশি পাবে না।
এ স্কিমের আওতায় অংশ নেওয়া তফসিলি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্ধারিত দেড় শতাংশ হারে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা নিতে পারবে। গ্রাহক পর্যায়ে মেট্রোপলিটন এলাকায় ৫ শতাংশ সুদে এবং মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে তফসিলি ব্যাংক সিনেমা হলগুলোকে অর্থায়ন করবে। এ ঋণ বা বিনিয়োগ এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ তিন মাসের কিস্তিতে সর্বোচ্চ ৮ বছর মেয়াদে গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাব থেকে এ অর্থ আদায় বা সমন্বয় করা হবে। দেশের সব তফসিলি ব্যাংক এ পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা দিতে পারবে গ্রাহককে।
এর আগে ২০২১ সালের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন সিনেমা হল তৈরিতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম থেকে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা দেবে ব্যাংক। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, একই ভবনে একটি কোম্পানি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন (একক বা যৌথভাবে) সিনেপ্লেক্স যত সংখ্যক স্ক্রিন বিশিষ্ট হোক না কেন, তা আলোচ্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ‘একটি ইউনিট’ হিসেবে বিবেচিত হবে। এরূপ নতুন ‘একটি ইউনিট’ স্থাপনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা এবং বিদ্যমান ‘একটি ইউনিট’ সংস্কারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা প্রাপ্য হবে। তবে ঋণ প্রদানের পূর্বে যাচিত ঋণ চাহিদার বিষয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক পর্যালোচনান্তে নিশ্চিত হতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলছে, পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ঋণ সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একটি সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স-এর আসন সংখ্যা ন্যূনতম ১০০ হতে হবে। এছাড়া ভাড়াকৃত বা ইজারাকৃত স্থাপনায় বিদ্যমান বা নির্মিতব্য সিনেমা হল বা সিনেপ্লেক্স-এর মালিকপক্ষের সঙ্গে ভবন মালিকের ভাড়া বা ইজারা চুক্তির মেয়াদ প্রদেয় ঋণ পরিশোধের জন্য নির্ধারিত মেয়াদের চেয়ে কমপক্ষে ৫ বছর বেশি হতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।