রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শীল বাহিনীর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। গতকাল উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের চৈতা বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নেয়া স্থানীয়দের অভিযোগ, চৈতা গ্রামের অঞ্জন শীল ও তার পুত্র অরুণ চন্দ্র শীল এবং দিপু শীল সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকার বহু মানুষকে হয়রানি, নিজ বাড়ির মন্দিরের প্রতিমা ভেঙে ও প্রতিমা ভাঙচুর মামলা দিয়ে হয়রানি। এছাড়াও তারা মাদকসহ গ্রেফতারও হয়েছে। ভৌগোলিকভাবে চৈতা গ্রাম পটুয়াখালী, বরিশাল ও বরগুনা জেলার সংযোগ এলাকায় হওয়ায় পাশের জেলার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী এই শীল বাহিনীর সদস্য হিসেবে সক্রিয় আছে।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী শাহীন আকন্দ বলেন, আমাকে জমি বিক্রির কথা বলে এক লাখ টাকা নিয়েছে পরবর্তীতে জানতে পারি ওই জমির মালিক তিনি নন ওই জমি তার জবরদখলের। এমনিভাবে তার জমি দেখিয়ে আরও তিনজনের কাছে থেকে তিনি টাকা নিয়েছে। আমি টাকা ফেরত চাইলে সে আমাকে হুমকি দেয়। একই গ্রামের রাজ্জাক মোল্লা বলেন, একজন সম্মানিত লোককে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে শুনলে আমি তাকে গালমন্দ করা থেকে বিরত থাকতে বলি, এরপর তিনি আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে এবং জীবননাশের হুমকি দেয় কয়েক দিন পরে জানতে পারি অন্য লোক দিয়ে আমার বিরুদ্ধে দু’ইটি মামলা দিয়েছে। তার মামলা থেকে রেহাই পাননি সাংবাদিকও। অরুণ শীলকে দিবালোকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘুরতে দেখে ছবি তোলার চেষ্টা করলে আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার সাংবাদিক মাসুদ রানার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় এবং কয়েকদিন পরে অন্য লোকের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি মামলা দায়ের করে।
মানববন্ধনে দৈনিক ভোরেরপাতা পত্রিকার সিনিয়র সাব-এডিটর জাওহার ইকবাল খান বলেন, অরুন শীল ও তারপুত্র আমাদের অনেক জমি জবর দখল করে আছে জমি ফেরত চাইলে আমাকে হুমকি দেয় এমনকি তার বাহিনী নিয়ে দেশি অস্ত্রসহ ধাওয়া করে এ বিষয়ে স্থানীয় থানায় একটি ডায়েরি করা আছে। তার মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পায়নি তার নিজ বাড়ির হিন্দু পরিবারের দিলীপ চন্দ্র শীলও পারিবারিক কলহের জের ধরে দিপু শীলকে দিয়ে লুট ও চাঁদাবাজির মামলা দিয়েছে যা পুলিশ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয়দের দাবি শীল বাহিনীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করার। এ বিষয় অঞ্জন শীল, অরুণ চন্দ্র শীল ও দিপু শীলের সাথে যোগাযোগ করলে তারা সংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।