Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

২৭ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি

ভূঞাপুরের তালুকদার সিরাজ আলী উচ্চ বিদ্যালয়

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২২, ১২:০৪ এএম

ভূঞাপুরের ফলদা ইউনিয়নের তালুকদার সিরাজ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ২৭ বছরেও উন্নয়নের কোন ছোয়া লাগেনি। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৫ সালে ১ একর জমির ওপর এলাকায় শিক্ষার উন্নয়নে উপজেলার পাছতেরিল্ল্যা গ্রামের মৃত তালুকদার সিরাজ আলীর ৫ সন্তান মিলে প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৯৯৭ সালে নিম্নমাধ্যমিক শাখা ও ২০০৩ সালে মাধ্যমিক শাখা এমপিও ভুক্ত হয়ে সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ৩টি বিশ হাত টিনের ঘর দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে চাহিদার প্রয়োজনে আরও একটি বিশ হাত টিনের ঘর ও একটি ষাট হাত হাফ বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়। তারপরও ৩শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য শ্রেণি কার্যক্রম ও ১৭জন স্টাফের অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করা দুরূহ ছিল বলে জানায় প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। তারা আরও জানান, গত ২৯ এপ্রিল কালবৈশাখী ঝড়ে প্রতিষ্ঠানের ৩টি টিনের ঘর ভেঙে পড়ে গেছে। এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু জানান, প্রতিষ্ঠান প্রধানের, অফিস সহকারীদের ও শিক্ষক মন্ডলীদের আলাদা আলাদা অফিস রুম থাকার কথা থাকলেও আমরা একটি ছোট রুমে গাদাগাদি করে বসে অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। উপর্যপুরি গত ২৯ এপ্রিল কালবৈশাখি ঝড়ে প্রতিষ্ঠানের ৩টি টিনের ঘর ভেঙে পরায় স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।
এ ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে। তিনি আক্ষেপ করে আরও জানান, এটি ২৭ বছরের একটি পুরাতন প্রতিষ্ঠান হলেও এখন পর্যন্ত আমরা কোন পাকা অবকাঠামো পাইনি। আমরা দেখেছি দেশে অনেক নন-এমপিও নতুন প্রতিষ্ঠানেও ৩/৪ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং রয়েছে। সেক্ষেত্রে এটি একটি ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আমি আপনাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহীনুর ইসলাম জানান, প্রতিষ্ঠানটি পুরাতন। সেক্ষেত্রে তাদের অবকাঠামো আরও উন্নত থাকা দরকার ছিল। গত ২৯ এপ্রিল কালবৈশাখীর ঝড়ে প্রতিষ্ঠানটির অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা ব্যাহত হবে। এই ক্ষতি পূরণে ও পাকা অবকাঠামো নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ