বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1719647231](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় অশনি‘র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় পাকা ধান ঘরে তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। যার যার সাধ্যানুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে নিরাপদে তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে রোববার (৮ মে) পর্যন্ত জেলার ৭৫ ভাগ পাকা ধান কাটা হয়ে গেছে। বাকি ধানও দ্রুত সময়ের মধ্যে কাটা হয়ে যাবে।
কৃষকরা বলছেন, এ বছর বোরো ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশি হয়েছিলেন। হঠাৎ ঝড়ের পূর্বাভাসে তাদের কপালে ভাজ পড়েছে। বিগত সময় ঝড়ে কৃষকের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষতির মুখে যাতে এবার পড়তে না হয় সেজন্য পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে ফসল ঘরে তুলছেন তারা। কেউ ধান মাড়াই কেউবা বস্তায় করে ধান তোলা নিয়ে ব্যস্ত।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কৃষক কামাল হোসেন বলেন, তাদের মাঠের ধান এখনও সম্পূর্ণ পাকেনি। আর শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কম্বাইল হার্বেস্টার দিয়ে ধান কেটে মাড়াই করে এক সাথে ঘরে তুলছেন। যন্ত্রের ব্যবহারে তিনি দ্রুত ধান ঘরে তুলতে পারছেন।
সদর উপজেলার সুগন্ধি গ্রামের কৃষক হাকিম মল্লিক জানান, ঝড় হবে এমন খবর পেয়ে ক্ষেতের সব জমির ধান কেটে ফেলা হয়েছে। ধানের ফলন ভালো, কিন্তু পুরোপুরি পাকেনি। তবুও কেটেছি যদি ঝড়ে ক্ষতি হয়। এখন লোকজন নিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি যেন নিরাপদে ধান ঘরে তুলতে পারি।
বাগেরহাট জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ৫৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে রোববার পর্যন্ত ৭৫ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকি জমির ধানও অল্প সময়ের মধ্যে কাটা হবে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোতাহার হোসেন বলেন, ‘আবহাওয়া খারাপ হবে এমন খবর আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। যার কারণে ইতিমধ্যে ৭৫ ভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। কৃষকরা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে ধান ঘরে তোলার জন্য। মাড়াই মেশিনগুলো দিয়ে দ্রুত মাড়াই করে অনেকেই ধান ঘরে তুলে ফেলেছেন। যারা এখনও তুলো পারেন নি তারাও চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উঁচু স্থানে ধান সংগ্রহের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।