Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবেলায় শ্যামনগরে জরুরী সভা: ১৮১টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত

সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২২, ৬:৪৩ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবেলায় জরুরী প্রস্তুতি সভা করেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। রোববার (৮ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলনের সভাপতিত্বে এবং শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার।

সভায় জানানো হয়, দুর্যোগকালীন সময়ে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আরও অন্তত ৭৮টি দ্বিতল ভবনকে সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া শ্যামনগর উপজেলাকে ঘিরে থাকা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ ১৭টি পয়েন্টে দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে পানি প্রবেশ ঠেকানোর উদ্যোগ নিচ্ছে পাউবো।

সভায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সুপেয় পানি সংরক্ষণসহ স্থানীয় বাজার থেকে শুকনা খাবার সংগ্রহ করতে ইউপি চেয়ারম্যানদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একই সাথে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে পরিষদের সদস্য, গ্রাম পুলিশসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সতর্ক বার্তা জারি হওয়ায় পরপরই গর্ভবতী ও প্রসূতি নারীসহ বয়স্ক ও শিশুদের নির্ধারিত সাইক্লোন শেল্টারে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে সিপিপি’র আঞ্চলিক কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদসহ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ-উজ জামান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ, এনজিও সমন্বয় পরিষদের প্রতিনিধি আল ইমরান, স্বেচ্ছাসেবক টিমের প্রতিনিধিসহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারি কর্মকর্তা ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপজেলা দুর্যোগ প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন বলেন, ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে নগদ এক লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবেলায় সবপক্ষকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে, রোববার দুপুর পর্যন্ত শ্যামনগরের উপকূলীয় এলাকার পাশ দিয়ে প্রবাহিত নদীসমূহে পানির উচ্চতা স্বাভাবিক ছিল। ঝড়ো বাতাস না থাকায় নদ-নদীসমূহে ঢেউয়ের কোন তীব্রতাও ছিল না। যদিও স্থানীয়দের আশংকা আগামী ১২ বা ১৩ মে’র দিকে গোণ মুখ চলে আসায় নদী ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ