Inqilab Logo

বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

হুমকির মুখে মাছুয়াঘোনা মৎস্য হ্যাচারি

হ্যাচারি সংলগ্ন হালদা নদীর ভাঙন

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী থেকে : | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২২, ১২:০১ এএম

দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজননক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীর ডিম সংরক্ষণ ও রেণু উৎপাদনের সরকারি হ্যাচারী উপজেলার উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নস্থ মাছুয়াঘোনা হ্যাচারী হুমকির মুখে। হ্যাচারী সংলগ্ন হালদা নদীর ভাঙনে যে কোনো মুহুর্তে নদীতে বিলীন হতে পারে। এদিকে কার্প জাতীয় মা মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুম হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে কয়েকশ ডিম সংগ্রহকারী।

মাসখানিক ধরে উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় হ্যাচারী সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে। মাঠপাম্প, সি.সি ক্যামরাসহ ডিম সংগ্রহকারীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে হ্যাচারীতে নেয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ। ঠিক এসময়ে হালদায় বিলীন হওয়ার শঙ্কায় ডিম সংগ্রহকারীরা হতাশ। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী বদরুল মনির হানাফী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা জানান, হ্যাচারী রক্ষার্থে যা যা করণীয় তা দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে। ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতনকে কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।

ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, মাছুয়াঘোনাসহ তিনটি হ্যাচারীতে প্রায় ৬০০ ডিম সংগ্রহকারী প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতে, এবার মা মাছের আনাগোনাও বেশি বলে জানান তারা। এই মৌসুমের মে মাসে হালদায় মা মাছ ডিম দেওয়ার কথা থাকলেও আবহাওয়ার পরিবেশ না থাকায় ডিম দেইনি। তবে আগামী কয়েকদিন পর পূর্ণিমার জো’তে ডিম দিতে পারে বলে মনে করছেন হালদা বিশেষজ্ঞরা ও ডিম সংগ্রহকারীরা। এখন হালদার পাড়ের ডিম সংগ্রহকারীদের নজর হালদা নদীর দিকে। আগামী পূর্ণিমার জো’তে বৃষ্টি বাদল হলেই পাহাড়ি ঢলের বা স্রোতের ঘোলা পানি হালদা নদীতে প্রবেশ করলেই মা মাছ ডিম দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন হালদা পারের প্রবীণ ডিম সংগ্রহকারীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ