Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঝিনাইগাতীতে বোরো ধান কাটার শুরুতেই শ্রমিক সঙ্কট

এস. কে সাত্তার, ঝিনাইগাতী ( শেরপুর ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২২, ১২:০২ এএম

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা-মাড়াই। তবে শুরুতেই দেখা দিয়েছে তীব্র শ্রমিক সংকট। একই সাথে কাটা-মাড়াই শুরু হওয়ায় চড়া মজুরিতেও মিলছে না ধান কাটা শ্রমিক। প্রতাবনগরের কৃষক ডা: আব্দুল বারী,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা, কালিনগরের আলহাজ্ব. শরীফ উদ্দিন সরকার, শালচুড়া গ্রামের সরোয়ারদী দুদু মন্ডল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ফরসা, সূড়িহারা গ্রামের আব্দুল বাছেদ কাজি বলেন এই ক’দিন ৯০০ টাকা রোজ বেতনে ধান কাটালাম। এখন ১২০০ টাকা রোজ বেতনেও শ্রমিক মিলছে না। পাকা ধান পানিতে ডুবে আছে, তাই বড়ই সমস্যায় আছি। রমজানের শেষে শিলা বৃষ্টিতে মাঠের পাকা ধানের খতি হয়েছে। তাই অতি দ্রুত ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা।
কিন্ত শ্রমিক সংকট প্রকট হওয়ায় মহাবিপদে পড়েছেন বলে জানালেন সূরিহারা গ্রামের কৃষক আব্দুল বাছেদ কাজি। বাধ্য হয়েই অনেকেই নিজেরাই ধান কাটতে শুরু করেছেন বলে জানান অনেক কৃষক। ধান মাড়াইয়ের কাজও তাদের নিজেদেরই করতে হবে। তারা রাস্তায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকছেন শ্রমিকের খোঁজে। কিন্ত পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়েই নিজেরাই ধান কাটতে শুরু করছেন। তারা জানান, কৃষি শ্রমিকরা এখন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ভাল রোজগার করে। তাই শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যাও ২/৪ জন পাওয়া যায় উচ্চ মজুরিতে।
প্রতিদিন এলাকাভেদে ৯০০টাকা থেকে ১২০০ টাকা রোজ বেতনে ধান কাটতে হচ্ছে। বাজারে ধানের ভাল দাম না পেলে তারা মাঠেমারা যাবেন বলে জানান। সবচে বেশী বিপদে পড়েছে বিলাঞ্চলের কৃষকরা। পাকা ধান তলিয়ে যাওয়ায়। দ্রুত কাটতে না পারলে আবারো যদি ঝড়ো হাওয়া বা শিলা বৃষ্টি হয় তবে উপোষ
থাকতে হবে বলে তারা জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ