জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। সামরিক যাঁতাকল থেকে এদেশের মানুষকে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে ১৯৯০ এর গণআন্দোলনের প্রধান নেত্রীতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।’ শনিবার (৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাঙালির আশীর্বাদ বঙ্গবন্ধু ও
শেখ হাসিনা’ প্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় সম্মানিত আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘এদেশের জনমানুষ, প্রান্তিক অঞ্চলের সাধারণ মানুষের নানা প্রতিক্রিয়া থাকবে। কিন্তু নেতৃত্বের কাজ হচ্ছে সেইসব ভুলগুলোকে সুধরে একটি পরিচ্ছন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া। এটি করেই বঙ্গবন্ধু সাড়ে সাতকোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির মহানায়ক হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশে ফিরে এসে যখন দেখলেন অগণতান্ত্রিক এবং সামরিক শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তিনি আবার সেই মানুষদেরকে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে ৯০ এর গণঅভ্যুত্থানের প্রধান নেত্রী হয়েছেন। ভোট এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু কন্যা নিরলন পরিশ্রম করেছেন। সুতরাং সাধারণ মানুষকে শ্রদ্ধা করা, ভালোবাসা, আলিঙ্গন করা- সেখানে কোনো রকমের কটাক্ষের শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। আমাদের সচেতন থাকতে হবে, একটি বই অল্প সময়ের জন্য মুদ্রিত হয় না। একটি ভালো মানের বই অনন্তকাল টিকে থাকবে। রেফারেন্স হবে।’
ভিসি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার নিয়ে আমাদের আরও বেশি গবেষণা করতে হবে। তাঁদেরকে নিয়ে লিখতে হলে আমাদের পর্যাপ্ত তথ্য জানতে হবে। ভাসা ভাসা তথ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা উচিত নয়। তাহলে তথ্য বিকৃত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের সচেতন হওয়া দরকার, একেবারে বিনা পরিশ্রমে তাঁদেরকে নিয়ে লিখলে এটির প্রভাব আমাদের আগামী প্রজন্মের মধ্যে পড়বে। একারণে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবার নিয়ে যদি লিখতে হয়, তাহলে সেটি যেন পরিকল্পিত এবং উচ্চমান বজায়ে রেখে করা হয়। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণায় আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামন নূর এমপি। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ, রবীন্দ্র বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. শাহ আজম শান্তনু প্রমুখ।