পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ২৯ হাজার ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রকৃত মৃত্যু উল্লেখিত সংখ্যার পাঁচগুণ বেশি। অর্থাৎ সেই হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ায় প্রায় দেড় লাখ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত রোগটির লক্ষণ বা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে এমন লোকের সংখ্যা সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হতে পারে, পাঁচগুণ কোনভাবেই নয়। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ইনকিলাবকে বলেছেন, করোনায় মৃত্যুর যে সরকারি হিসাব সেটি সম্পূর্ণ নির্ভুল। এক্ষেত্রে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। ডব্লিউএইচও’র কিভাবে করেছে তা আমরা দেখবো। তবে কিছু মানুষ ক্যান্সারের রোগী, হার্টের রোগী অসুস্থ্য হয়েও হাসপাতালে আসেন নি, অনেকে বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে যাদের মৃত্যু হয়েছে সেই সংখ্যাটা বাদ পড়তে পারে। তবে সেই সংখ্যা খুব সামান্যই হবে।
এ প্রসঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রন ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর’র উপদেষ্ঠা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোন হিসাবে এই তথ্য উপস্থাপন করেছে সেটি নিশ্চিত নয়। তারা কি অনুমান নির্ভর বলছে, নাকি সুস্পষ্ট গবেষণা রয়েছে সেটি উল্লেখ করেনি। তিনি বলেন, কোভিডকালীন লক্ষণ বা উপসর্গ নিয়ে বেশকিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেটি সরকারি হিসাবে যে সংখ্যা প্রকাশ করা হয় তার চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি হতে পারে। কিন্তু কোন ভাবেই এই সংখ্যার পাঁচগুণ নয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ২৯ হাজার ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের আরটি পিসিআরএ কোভিড-১৯ পজেটিভ ছিল। টানা গত ১৫ দিন ধরে করোনাভাইরাসে মৃত্যুশূন্য রয়েছে দেশ। গত বছরের ৩১ ডিসেম্ব^র সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু ছিল ২৮ হাজার ৭২ জন। শুক্রবার পর্যন্ত দেশে মোট কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষা হয়েছে ৯২ লাখ ৫৮ হাজার ৬৪০টি। এরমধ্যে শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৬৬ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৪৬ জন। সরকারি হিসাবে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং মৃত্যু হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে সরকারিভাবে ১০ হাজারের বেশি মৃত্যু দেখানো হয়েছে এমন ১০টি দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ তালিকায় প্রথমেই রয়েছে মিসর। দেশটিতে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ১১ দশমিক ৬ গুণ বলে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা সরকারিভাবে প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে ৯ দশমিক ৯ গুণ বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ডব্লিউওইচওর পরিসংখ্যান পুরোপুরি বাস্তবতাবর্জিত বলে উল্লেখ করেছে। করোনায় মৃতের সংখ্যা নিরূপণে ডব্লিউএইচও যে গাণিতিক মডেল ব্যবহার করেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ভারত।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।