বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বন্দর থানার চাঞ্চল্যকর উজ্জল হত্যাকাণ্ডের দশ বছর পর পলাতক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতারের পর জামিনে মুক্ত হয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন মাজারে নিজ নাম পরিবর্তন করে লুকিয়ে থাকতেন কাশেম। গতকাল শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আ. বারেক হাওলাদার বন্দরের কদম রসুল মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আবুল কাশেম নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেন ওরফে মোহাম্মদ আলীর ছেলে। একই দিন দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকায় প্রবাস ফেরত মো. উজ্জল মিয়ার কাছ থেকে সিগারেটের আগুন ধরানোর জন্য ব্যবহৃত একটি লাইটার ম্যাচ ধার নেয় সুজন। এর একদিন পর সুজনের কাছে লাইটার ফেরত চায় উজ্জল। এই নিয়ে ২০১২ সালের ১৬ জুন তাদের দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সুজন, কালু, আজমান ও আবুল কাশেমসহ আরো কয়েকজন তাকে মারধর করে মাথায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
এই ঘটনায় নিহত উজ্জলের বাবা লুৎফর রহমান বাদী হয়ে সুজনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। উজ্জল মিয়া হত্যা মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রথম বিচারক মিয়াজী শহীদুল আলম চৌধুরী ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর চারজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। এছাড়া প্রধান আসামি সুজনকে আরো তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডিত অর্থ অনাদায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা এলাকার সুজন, কালু, আজমা ও আবুল কাশেম। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে শুধু সুজন উপস্থিত ছিল। পলাতক ছিলেন অন্য তিনজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।