Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সন্ত্রাসী হামলায় চোখ হারালেন তিন সন্তানের জনক

সিলেট ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

সিলেটের বালাগঞ্জে বর্বর হামলা চালিয়ে তিন সন্তানের জনকের চোখ উপড়ে ফেলেছে রাজনীতিক মদদে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এছাড়া কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে তার মাথায় ও শরীরে। বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও রহস্যজনক কারণে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা। ফলে তিনটি অবুঝ সন্তান নিয়ে হত-দরিদ্র পরিবারের স্ত্রী পড়েছেন চরম নিরাপত্তহীনতায়। গত ৩০ এপ্রিল বালাগঞ্জ থানার পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের খুজকিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই খুজকিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক খাজুরের পুত্র আসুক মিয়ার নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী একই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র আব্দুল হামিদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পায়ে কপালে ও মাথায় গুরুতর ও গুরুতর জখম করে এবং তার একটি চোখ উপড়ে ফেলে ও একটি চোখ গলিয়ে দেয়।

তার আর্তচিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা আব্দুল হামিদের ভাই জাকির ও আত্মীয় জুনেদেও উপরও হামলা চালায়। তারাও গুরুতর আহত হন। এসময় সন্ত্রাসীরা আব্দুল হামিদের স্ত্রী ও সন্তানদের টানা হেঁচড়া করে মাটিতে ফেলে বেদম মারপিট করে। আশংকাজনক অবস্থায় আব্দুল হামিদ, জাকির ও জুনেদকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত আব্দুল হামিদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয় তাকে। হামলায় তার দুটি চোখ একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। সে জীবনের জন্য অন্ধত্ব বরণ করছে বলে ডাক্তাররা জনিয়েছেন। এ ঘটনায় আব্দুল হামিদের ভাই আব্দুর রকিব বাদী হয়ে ৮ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করে অজ্ঞাতনামাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বালাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার নামীয় আসামিরা হচ্ছেন, বালাগঞ্জ থানার পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের খুজকিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারিক খাজুরের পুত্র আসুক মিয়া, জামাল মিয়া ও হায়দর রাজা এমরান, একই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র আব্দুস সত্তার লেবু ও আব্দুল কুদ্দুস এহিয়া, গ্রামের নুনু মিয়ার পুত্র নিরু মিয়া, মৃত রূপা মিয়ার পুত্র সুজন মিয়া, মৃত পঙ্কী মিয়ার পুত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মামলার পর থেকে রহস্যজনক কারণে সন্ত্রাসী আসুক ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ। আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আহতদের স্বজনদের হত্যা অপহরণ ও গুম করার প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রমা প্রসাদ চক্রবর্তী ইনকিলাবকে জানান, ঘটনার পর থেকে মামলার মূল আসামিরা আত্মগোপনে চলে গেছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ