বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদের আমেজ বইছে সিলেটের সর্বত্র। ঘরে ঘরে ঈদ আনন্দ। সেই আনন্দে অখন্ড অবসর। আলসে অবসর নয়, পুরোদমে ব্যস্ততায় কাটাচ্ছে এ সময়টা সিলেটবাসীরা। ছুটছে আতœীয় স্বজনের বাড়ি বাড়ি। সেই সাথে বিনোদন কেন্দ্রে নেমেছে ঢল। ঈদের ছুটিতে দ্বিতীয় দিনে মুখরিত হয়ে উঠেছে সিলেটের পর্যটন স্পটসমূহ। ঈদের দিন বিকালে সিলেট নগরী ও শহরতলীর প্রতিটি পর্যটন স্পটে পর্যটকদের ভিড় ছিল দেখার মতো। এদিকে বুধবার ঈদের দ্বিতীয় দিনে জাফলং, লালাখাল, রাতারগুল, বিছনাকান্দি, পান্তুমাই, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর, দরগাহে হযরত শাহজালাল(র.) মাজারের পাশাপাশি সিলেট নগরীর বিভিন্ন পার্কগুলোতে দল বেঁধে গাড়ি নিয়ে ছুটে আসছেন পর্যটক ্ও দর্শনার্থীরা। সিলেটের সবকটি হোটেল-মোটেলও খালি নেই। পূর্ব থেকেই বুকিং করে রেখেছিলেন পর্যটকরা। নগরীর ফুরচুন গার্ডেন হোটেল ম্যানেজার কামাল আহমদ বলেন, গত দুই বছর হাহাকার ছিল হোটেল ব্যবসায়ীদের। কিন্তু এবার ভিন্ন চিত্র। অগ্রিম বুকিং ছিল, অনেকে যোগাযোগ করছে কিন্তু সিট দেয়ার যায়নি। ভালো একটা সময় পার চলছে আমাদের।
ভারতের মেঘালয় পাহাড় ঘেঁষা প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি প্রকৃতি কন্যা জাফলং, পান্তুমাই’র ঝর্ণা, বিছনাকান্দির স্বচ্ছ-সফেদ পানি আর সোয়াম্প ফরেস্ট খ্যাত রাতারগুল, ভোলাগঞ্জের জিরো লাইনে সাদা পাথরের অপরুপ দৃশ্য এক নজর দেখতে কার না মন চায়! গত দুই বছরে করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারি বিধি-নিষেধ থাকায় ইচ্ছে থাকা স্বত্বেও দেশের অন্যস্থান থেকে সিলেট আসতে পারেননি ভ্রমণ পিপাসুরা। কিন্তু এবার কোনো ধরণের বিধি নিষেধ না থাকায় বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে প্রকৃতির টানে দেশের অনেক জেলা থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের পাশাপাশি উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীরা ছুটে এসেছেন সিলেটে ঈদের ছুটি কাটাতে।
ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর শীতল পানিতে পরশ জুড়াতে এসেছেন ময়মনসিংহের রাজন। তিনি বলেন, ‘সিলেটের বিভিন্ন স্থান আগেও এসেছি, কিন্তু সাদা পাথরের পাথর দেখিনি। এই পর্যটন স্পট দেখতে ঈদের ছুটিকে কাজে লাগাচ্ছি। স্পটটি দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে।’
এদিকে, সিলেট অঞ্চলের ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘ঈদ পরবর্তী সময়ে চার দিন সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় স্থানীয় পর্যটকসহ গড়ে আট লাখ পর্যটক উপস্থিত থাকবেন বলে ধারণা করছি। এ জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ তিনি নিজে পর্যটনকেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। বলেন, পর্যটনকেন্দ্রগুলো ঘুরে সেখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পর্যটকদের সতর্কতার জন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় নির্দেশনামূলক ফেস্টুন লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য পর্যটকদের পানিতে নামার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলা পুলিশ এরই মধ্যে সিলেটের ১০টি পর্যটনকেন্দ্র ও জনসমাগমস্থল চিহ্নিত করেছে। এসব কেন্দ্রে ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাদাপোশাকেও গোয়েন্দা পুলিশ নিযুক্ত রয়েছে। এদিকে, প্রাকৃতিক বিনোদন কেন্দ্র ছাড়্ওা বিভিন্ন পার্কগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষনীয়। শেখ হাসিনা শিশু পার্ক, ইকোপার্ক, শিশু পার্ক, ড্রিম ল্যান্ড পার্কগুলোতে দর্শনার্থীদের সরব উপস্থিতি বলে দিচ্ছে ্ঈদ আনন্দের খূশির জোয়ার। সেই সাথে রির্সোটগুলো জুড়ে নাান বিনোদনের ব্যবস্থা রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। সেখানেই ভিড় করছেন বিনোদন প্রেমীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।