Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পার্বতীপুরে সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা ভাংচুর ও জমি জবর দখলের চেষ্টা

উভয় পক্ষই আহতের দাবী

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০২২, ৪:০২ পিএম

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে প্রত্যন্ত পল্লীতে এক সংখ্যা লঘুর বাড়ীতে জমি জবর দখল হামলা ভাংচুর এবং মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়,উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বুড়া বাজার সংলগ্ন খলিলপুর সরদার পাড়ায় একমাত্র হিন্দু বসতি নিখিল চন্দ্র রায়ের বাড়িতে আজ বুধবার (৪ মে) সকালে প্রতিপক্ষ মাকসুদার রহমানের লোকজন লাঠিসোঠা বল্লম খন্তি কোদাল হাতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে নিখিল চন্দ্র রায়ের ৪৩ শতক জমির উপর বৃক্ষরোপন ও বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বাধা দিলে সংখ্যা লঘু গোটা পরিবারটি হামলার শিকার হয়। স্ত্রী অনামিকা রায়ের উপর হামলা ও মার ডাঙ্গে হাতের শাঁখা ভেঙ্গে যায় এবং আঘাতপ্রাপ্ত হয়। নিখিল চন্দ্র কিল ঘুষির শিকার হয়। উপায়ন্তর না পেয়ে পরিবারটি ৯৯৯ ফোন দিলে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সংগীয় ফোর্স নিয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনাস্থলে পৌছান। অবস্থা প্রত্যক্ষ করে মাকসুদার রহমান গংকে বিবদমান জমির উপর থেকে সকল কার্যক্রম গুটিয়ে নিবৃত হতে বলেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে পুলিশ কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে বিবাদমান জমির উপর কোনো রকম কার্যকলাপ না করার পরামর্শ দিয়ে চলে যান। এ ব্যাপারে নিখিল চন্দ্র রায়ের সাথে কথা হলে জানান, বাপ দাদার দলিল ও খারিজ সূত্রে আমি জমির মালিক প্রতিপক্ষ একই জমির ডাবল খারিজ করে দলিল সৃষ্টির মাধ্যমে আমার বেঁচে থাকার অবলম্বন টুকু কেড়ে নিয়ে উৎখাত করতে চায়। পাঠিয়ে দিতে চায় ভারতে। এ ব্যাপারে আদালতে দলিল বাতিলের মামলা (মামলা নং- ৪১/১৬) চলমান। কিন্তু প্রতিপক্ষ সময় অসময় প্রভাবশালী হওয়ার কারনে আমার অসহায়ত্বের সুযোগে বারবার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী মাকসুদার রহমানের সাথে কথা হলে চলমান মামলার কথা স্বীকার করে জানান ২০১২ সালে তাদেরই এক ভাগীর কাছ থেকে জমিটি আমার কেনা। ভাগী কতটুকু বৈধ অবৈধ বিষয়টি আদালতের উপর নির্ভর। আমি দলিল মূলে জমিতে যাওয়ার চেষ্টা করি মাত্র। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ইনচার্জ সুলতান মাহামুদের সাথে কথা হলে জানান, বিষয়টি দীর্ঘদিন থেকে মামলাধীন ও ঝুলমান বিবাদ। প্রায় প্রায় সেই এলাকায় গিয়ে আমাদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। আপাতত: দুপক্ষকেই বিবাদমান মামলাধীন জমিটিতে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ