Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলে করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের হার ৮০ ভাগের বেশী

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০২২, ২:৪৫ পিএম

দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ আশাতীতভাবে হ্রাসের সাথে ভ্যাকসিন গ্রহণের হার ইতোমধ্যে ৮০ ভাগের ওপরে উন্নীত হয়েছে। গত দু মাসে এ অঞ্চলের ৬ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১২৯ জনে নেমে আসলেও এসময়ে মারা গেছেন দুজন। তবে মার্চের মধ্যভাগের পরে এঅঞ্চলে কোন মৃত্যু নেই। এমনকি পুরো এপ্রিল মাসে দক্ষিণাঞ্চলের ৪২টি উপজেলায় মাত্র ৭ জনের করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর। চলতি মাসের প্রথম ৪ দিনের কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায়।

অপরদিকে প্রায় ১কোটি জনসংখ্যার দক্ষিণাঞ্চলে ১২ বছরের উর্ধের জনসংখ্যার প্রায় ৭০ লাখ মানুষ করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ এবং ৬০ লাখ দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছেন। তবে বুষ্টার ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা এখনো ৬ লাখের নিচে। ভ্যাকসিন গ্রহনকারী এ সংখ্যার মধ্যে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী প্রায় ১০ লাখ ৩৫ হাজার ছাত্রÑছাত্রী প্রথম ডোজ এবং ৯ লাখ দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছে বলেও জানা গেছে।

এপর্যন্ত বরিশাল মহানগরীতে প্রথম ডোজ গ্রহনকারীর সংখ্যা ৪ লাখ ৪৫ হাজার হলেও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করেছেন ৪ লাখের কিছু বেশী। যা এ নগরীর ১২ বছরে উর্ধের জনসংখ্যার ৮০ ভাগের বেশী বলে মনে করছেন নগর ভবন কতৃপক্ষ। তবে এ মহানগরীতে বুষ্টার ডোজ গ্রহন করেছে মাত্র ৮১ হাজার মানুষ। করোনা সংক্রমন হ্রাসের সাথে সঠিক ধারনার অভাবে মহানগরী সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলেই এখনো সাধারন মানুষের মধ্যে বুষ্টার ডোজ গ্রহনে আগ্রহ কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন। এ ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচারনা সহ সাধারন মানুষকে উদ্বুদ্ধ করারও তাগিদ দিয়েছেন চিকিৎসকগন। পাশাপাশি মাস্ক পড়া সহ পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য বিধি অনুসরনেরও তাগিদ দেয়া হয়েছে।

এদিকে বুধবার পর্যন্ত দক্ষিনাঞ্চলে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা ৫২ হাজার ৭০৪ জনে উন্নীত হলেও ৫১ হাজার ৭৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৯০ জন। সে হিসেবে এখনো দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন ৯৩৯ জন। এসব রোগীরা বেশ কিছুদিন ধরেই কোভিড-১৯’ এ ভুগছেন। কারণ গত ২৫ দিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলে কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। এসময়ে কোন আক্রান্ত না হলেও দৈনিক গড়ে ১৫ জনের মত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর বর্তমানের সক্রিয় রোগীদের নিয়েই দক্ষিণাঞ্চলে ঈদ উদযাপন করেছেন আক্রান্তদের নিকটজনেরা। কারণ দক্ষিনাঞ্চলের কোন হাসপাতালেই এখন করোনা রোগী নেই।

এ পর্যন্ত বরিশালে ২১ হাজার ২২ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ২৩৫ জন। পটুয়াখালীতেও আক্রান্ত ৭ হাজার ৪১ জনের মধ্যে ১১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বীপজেলা ভোলাতে আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিনাঞ্চলের দ্বিতীয়, ৭ হাজার ৮৬৪। মারা গেছেন ৯২ জন। পিরোজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা বুধবার পর্যন্ত ছিল ৬ হাজার ৩০৬, মারা গেছেন ৮৩ জন। সর্বাধিক মৃত্যুহারের বরগুনাতে ৪ হাজার ৬৬৮ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ৯৯ জন। আর দক্ষিনাঞ্চলের সবচেয়ে ছোট জেলা ঝালকাঠী শনাক্ত হারের শীর্ষে। চার উপজেলার এ জেলায় ৫ হাজার ৬০৪ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। তবে এখনো দক্ষিনাঞ্চলে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তালিকার শীর্ষে বরিশাল মহানগরী সহ জেলা। মহানগরীতে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার আক্রান্তের মধ্যে ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আগামী জুনের মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলে ১১ বছরে ঊর্ধের প্রায় শতভাগ মানুষকে করোনা ভ্যকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর। ফলে আগামীতে করোনা সংক্রমনের ঝুকি ও হার নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারেও আশাবাদী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ