Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কুষ্টিয়ায় আ.লীগের ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, নিহত ৪, আহত ২০

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০২২, ১০:০৪ পিএম | আপডেট : ২:৪৯ পিএম, ৩ মে, ২০২২

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২ মে) সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষ হয়।

নিহতরা হলেন—আস্তানগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজিজুল হকের ছেলে মতিয়ার রহমান (৪৫), দাউদ মণ্ডলের ছেলে লাল্টু মণ্ডল (৪২), মৃত হোসেন মণ্ডলের ছেলে আবুল কাশেম (৬৫) এবং মৃত আবুল মালিথার ছেলে আব্দুর রহিম মালিথা (৭০)।

প্রথম তিনজন ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসানের সমর্থক এবং আব্দুর রহিম মালিথা প্রতিপক্ষ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলীর সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আস্তানগর বাজারে কেরামত আলীর সমর্থক আব্দুর রহিম মালিথার সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মেহেদী হাসানের সমর্থকরা রহিমের ওপর ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। লঠির আঘাতে রহিম মাটিতে পড়ে যান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মেহেদীর সমর্থকরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রহিমকে মারধরের সংবাদ পেয়ে কেরামত আলীর সমর্থকরা মেহেদীর সমর্থকদের ওপর পাল্টা হামলা চালান। এতে মতিয়ার, লাল্টু ও আবুল কাশেম গুরুতর আহত হন। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২০ জনের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আশরাফুল আলম।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান রতন জানিয়েছেন, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কেরামত আলীর সমর্থক ও মেহেদী হাসানের সমর্থকদের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা চলছিল।

এ ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।


সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের মুঠোফোনে কল করলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ স ম আখতারুজ্জামান মাসুম বলেন, ‘ঝাউদিয়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান সামাজিক দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। এটি দলীয় সংঘর্ষ নয়।’


ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী মুঠোফোনে বলেছেন, ‘বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত তার লোকজনদের লেলিয়ে দিয়ে আমার দেহরক্ষী রফিকুলের বাবা রহিম মালিথাকে হত্যা করেছে।’

পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনিও জানিয়েছেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ