পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জবাবদিহিতা না আসলে দেশে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সম্প্রতি দুই জন ক্রসফায়ারে মারা গেছে। এটা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার চার মাস পরে। এটার কারণটা হচ্ছে, আমি যেটা মনে করি যে, র্যাবের যে ক্রেরেক্টার তারা তৈরি করে দিয়েছে বেআইনি, অমানবিক, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা কাজ করছে এবং করে যাবে। কারণ যারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার এখন পর্যন্ত কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তার জন্য স্বাভাবিকভাবে এসব (বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড) হবে। এর একমাত্র কারণ এখানে কোনো জবাবদিহিতা নেই্। আমরা বার বার একথা বলেছি যে, সরকারের বড় সমস্যা হচ্ছে যে, তাদের যেহেতু জবাবদিহিতা জনগণের কাছে নেই, অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান আছে তাদেরও সেই জবাবদিহিতার থাকার প্রয়োজন তারা মনে করে না।
গতকাল শনিবার বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর বনানীর বাসায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পরে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
ইলিয়াস আলীর সন্ধানে সরকারের কোন প্রচেষ্টা নেই অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের সন্ধানে সরকারের কোনো প্রচেষ্টাই দেখা যায় না। ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার বিষয়ে কোনো প্রচেষ্টা দেখা যায়নি। যেহেতু সরকারই ইনভলবড। যখন ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে গেছে বাসা ওই খান থেকে তখন তো মানুষজন দেখেছে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। যারা দেখেছেন তারাও গুম হয়েছে, তার গাড়ির চালকও গুম হয়েছে। খুব পরিস্কার যে, এই সরকারের দ্বারাই এটা হয়েছে সেই কারণে তারা উদ্যোগ নেয়নি।
গুম হওয়ার বিষয়ে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান র্যাব ও তার ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ তুলে নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ভারতের কাছে যে সহযোগিতা চাইবেন এই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার ও আওয়ামী লীগ ব্যানক্রাফট হয়ে গেছে যে, তারা জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতকে অনুরোধ করতে চায়। ভারতকে বলবে যে, তাদেরকে দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করাবে। বিষয়টা হচ্ছে যে, এই সরকারের সেই মুভ নেই, তারা এটা নিয়ে মানুষের কাছে দাঁড়াতে পারছে না। অন্যদিকে তারা তো ক্ষমতায় জোর করে বসে আছে, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এইসব বাহিনীকে ব্যবহার করছে। এইভাবে ব্যবহার করার পরে তাদের বিরুদ্ধে কিভাবে ব্যবস্থা নেবে, তাদের শাস্তি দেবে, তাদেরকে বের করে দিবে অথবা তাদেরকে আইনের আওতায় আনবে-এটা তারা করতে পারছে না। সেজন্য সেদিকে না গিয়ে যেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেছেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত না ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ওইসবের বিরুদ্ধে ততক্ষণ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা উঠানোর সম্ভাবনা নেই। যেহেতু সরকার গুম করে, খুন করে নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে আছে, তাদেরকে নিয়ে এসব অপকর্ম করছে সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তারা (সরকার) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক আদালতের বিষয়ে কাজ চলছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই বিষয়টার ওপর আমরা কাজ করছি। এর আগেও আমরা চেষ্টা করেছি, এখনো কাজ করছি। সঠিক সময়ে যতটুকু পারা যায় ব্যবস্থা নেবো।
গুম থেকে ফেরত আসা সালাহউদ্দিন আহমেদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি (সালাহউদ্দিন আহমেদ) ওখানে (ভারত) নিম্ন আদালতে মুক্ত হয়েছিলেন। পরে আবার আপার কোর্টে আপীল করে তাকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে।
গুম হওয়া ইলিয়াস আলীর পরিবার বর্তমানে অনেক বিপদে দিনযাপন করছেন মন্তব্য মির্জা ফখরুল বলেন, ইলিয়াস আলীর স্ত্রী জানিয়েছেন তার (ইলিয়াস আলী) ব্যাংক একাউন্ট সেটা তারা হেন্ডেল করতে পারছেন না। তার গাড়িও ট্যাক্স তারা দিতে পারছেন না। এই বিষয়গুলো তার পরিবারের কাছে একটা মর্মান্তিক যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মেয়ের ভর্তির ব্যাপারে অনেক সমস্যার মধ্যে তাদের পড়তে হয়েছে। সব কলেজে মেয়েকে ভর্তি করছিলো না। পরিবর্তিকালে অনেক চেষ্টা-তদবির করে তার মেয়েকে ভর্তি করানো হয়েছে। এটা শুধু ইলিয়াস আলীর পরিবার নয়, গুম হওয়া সব পরিবারগুলো এমন নিদারুন কষ্টের মধ্যে আছেন’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সাথে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিলেট জেলা সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পরিবারের জন্য ঈদ উপহার তার কাছে পৌঁছিয়ে দেন। তিনি বলেন, আমরা গুম হওয়া পরিবারগুলোর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার পৌঁছিয়ে দিচ্ছি। বিভিন্ন জেলাগুলোতে যারা ভিকটিমস আছেন তাদেরকে জেলা পর্যায়ের নেতারা এই ঈদ উপহার ও সহযোগিতা করার চেষ্টা করছেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।