পদাবলি
রোজাকে দরকার আবদুল হাই শিকদার সকল কিছু বক্র যখন কে করে সব সোজা?রমজানের পর্দা তুলে হাসেন তখন রোজা! ঘর দরোজা মলিন হলে করাতে হয় রঙ,তলোয়ারকে রাখতে তাজা ছাড়াতে
উৎসবের মধ্য দিয়েই একটি জাতি তার আনন্দ উদযাপন করে থাকে, যা তাকে দান করে অফুরন্ত আত্মিক শক্তি। বাঙালি-মুসলমানেরও দুটি উৎসব আছে- একটি ঈদুল ফিতর; অন্যটি ঈদুল আজহা। এই ঈদ তার জীবনে এত তাৎপর্যবহ যে, একে বাদ দিয়ে আনন্দের কথা কল্পনাই করা যায় না। বাংলা কবিতায়ও এর উজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
বাংলা ভাষায় প্রথম ঈদের কবিতা লেখেন বিখ্যাত ‘নবনূর’ পত্রিকার সম্পাদক ও ‘ডালি’ কাব্যের কবি সৈয়দ এমদাদ আলী (১৮৭৫-১৯৫৬)। ১৯০৩ সালের নবনূর ডিসেম্বর সংখ্যায় কবি সৈয়দ এমদাদ আলী ‘ঈদ’ নামে একটি কবিতাটি প্রকাশ করেন। এটি বাংলা ভাষার প্রথম ঈদের কবিতা।
কুহেলি তিমির সরায়ে দূরে
তরুণ অরুণ উঠিছে ধীরে
রাঙিয়া প্রতি তরুর শিরে
আজ কি হর্ষ ভরে!
আজি প্রভাতের মৃদুল বায়
রঙে নাচিয়ে যেন কয়ে যায়
‘মুসলিম জাহান আজি একতায়
দেখ কত বল ধরে।’
আজ যে ঢাউস সাইজের ঈদম্যাগাজিন বের হয় ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে, যা হাতে না নিলে যেন রুচিশীল সাহিত্যামোদী বাঙালীর ঈদই উদযাপন করা হয় না, এরও প্রথম প্রচলন করেছিলেন কবি সৈয়দ এমদাদ আলী। বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান এই কবি, যিনি ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা, ব্রিটিশ সরকার যাঁকে ভূষিত করেছিল ‘খানসাহেব’ উপাধিতে, সর্বপ্রথম ঈদসংখ্যা প্রকাশ করেন। ১৯০৩, ১৯০৪ ও ১৯০৫-পরপর এ তিন বছর নবনূর ঈদসংখ্যা বের হয়, যেখানে ঈদবিষয়ক লেখা লেখেন সৈয়দ এমদাদ আলী, মহাকবি কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১) ও বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (১৮৮০-১৯৩২)। কায়কোবাদ ‘ঈদ আবাহন’-এই একই শিরোনামে দুটি ঈদের কবিতা লেখেন, যার একটি প্রকাশিত হয় ‘অশ্রুমালা’ কাব্যগন্থে, অন্যটি ‘অমিয়ধারা’য়।
আজি এ ঈদের দিনে হয়ে সব এক মন প্রাণ,
জাগায় মোস্লেম সবে গাহ আজি মিলনের গান।
ডুবিবে না তবে আর ঈদের এ জ্যোতিস্মান রবি,
জীবন সার্থক হবে, ধন্য হবে এ দরিদ্র কবি।
এরপর থেকে বাংলা ভাষায় ঈদের কবিতা লেখেননি কোন মুসলমান কবি, তা খুঁজে বের করাটাই বরঞ্চ কষ্টকর। শান্তিপুরের কবি মোজাম্মেল হক (১৮৬০-১৯৩৩) ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ ১৩২৭ সংখ্যায় লেখেন ‘ঈদ’ শিরোনামে একটি কবিতা।
মুসলেমের আজ ঈদ শুভময়, আজ মিলনের দিন,
গলায় গলায় মাখামাখি, আমির ফকির হীন।
আজ সবারি হস্ত পূত, ধোওয়া স্বর্গ নীরে
তাই যে চুমোর ভিড় লেগেছে, নম্র নত শিরে।
শেখ ফজলল করিম (১৮৮২-১৯৩৬)ও ‘ঈদ” শিরোনামে একটি কবিতা লেখেন, যেখানে কবি অধঃপতিত মুসলিমজাতির জাগরণের গান গেয়েছেন খুবই বেদনাকাতর কণ্ঠে:
অলস অধম মোরা এখনো কি অবহেলে যাব রসাতলে?
অদৃষ্টের উপহাস এখনো কি আনিবে না চেতনা ফিরিয়া?
এখনো লাঞ্ছিত মোরা বুঝিব না হিতাহিত, রহিব ঘুমিয়া?
জীবনপ্রভাত আজি বিস্ময়ে দেখিতে চাহি মহাজাগরণ
সাহসে বাঁধিয়া বাকি পথে হয়ে অগ্রসর নতুবা মরণ!!
কবি শাহাদাৎ হোসেন (১৮৯৩-১৯৫৩) ও কবি গোলাম মোস্তফা (১৮৯৭-১৯৬৪) কয়েকটি কবিতা লেখেন ঈদকে নিয়ে । গোলাম মোস্তফা রচিত নিচের কবিতায় ফুটে উঠেছে ঈদের চাঁদকে নিয়ে কবির আনন্দ-উচ্ছ্বাসের কথা।
আজ নূতন ঈদের চাঁদ উঠেছে, নীল আকাশের গায়।
তোরা দেখবি কারা ভাই–বোনেরা আয়রে ছুটে আয়।
আহা কতই মধুর খুবসুরাৎ ঐ ঈদের চাঁদের মুখ
ও ভাই তারও চেয়ে মধুর যে ওর স্নিগ্ধ হাসিটুকু
যেন নবীর মুখের হাসি দেখি ওই হাসির আভায়।
তবে ঈদ নিয়ে যত কবিতাই লেখা হোক, ঈদের কবিতা প্রকৃত সাহিত্যিক মূল্য পেয়েছে প্রথম যাঁর হাতে, তিনি কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল ছিলেন সত্যিকার অর্থে বাঙালীর জাতীয় কবি। শক্তিমান এ কবির হাতে বাঙালি-মুসলমানের বিশ্বাস ও সংস্কৃতি একটি পরিশুদ্ধ শিল্পের আকার প্রাপ্ত হয়ে দুচোখ ধাঁধিয়ে দেয় সকলের। কি তাঁর ছন্দ, কি তাঁর মানবিক আবেদন!
ঈদ বারবার ফিরে এসেছে নজরুলের গানে ও কবিতায়। বাঙালীর ঈদের সাথে নজরুলসত্তা এত নিবিড়িভাবে মিশে আছে যে, একটা থেকে আরেকটাকে পৃথক করা যায় না। বাঙালীর তো ঈদুল ফিতরই হয় না নজরুলের এই গান ছাড়া:
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।
যেমন এর সুর, তেমনি এর ভাব-ব্যঞ্জনা, যা বাঙালি-মুসলমান শুধু নয়, ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে যে-কোনো বাংলাভাষীকে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তবে এ গানের মধ্য দিয়ে কবি স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন মুসলিম জাতির অতীত গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা। তিনি উদাত্ত কণ্ঠে বলে ওঠেন:
তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ।
আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে,
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।
ইসলাম যে তরবারি দিয়ে নয়, ভালবাসা ও সাম্যবাদ দিয়ে সারা পৃথিবী জয় করেছিল একদিন, সে-কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কবি বলেন:
আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমন, হাত মেলা ও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে র্ক বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।
দীর্ঘ এক মাসের সিয়াম সাধনার পর খুশির বার্তা নিয়ে আসে ঈদ, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। কিন্তু সার্বজনীন শান্তির এই ঈদ অর্জন করার জন্য মুসলিম জাতিকে কত রক্তাক্ত রাস্তাই না পাড়ি দিতে হয়েছে, স্বীকার করতে হয়েছে কত ত্যাগ-তিতিক্ষা ও কুরবানি। শাশ^ত সেই ঈদকে স্বাগত জানিয়ে কবি বলেন:
শত যোজনের কত মরুভূমি পারায়ে গো,
কত বালুচরে কত আঁখি-ধারা ঝরায়ে গো,
বরষের পরে আসিলে ঈদ!
ভুখারির দ্বারে সওগাত বয়ে রিজওয়ানের,
কণ্টক-বনে আশ্বাস এনে গুল-বাগের,
সাকিরে “জা’মের” দিলে তাগিদ।
ঈদুল ফিতর ধনী-দরিদ্র সবার জন্যেই আনন্দের বার্তা নিয়ে হাজির হয়। কিন্তু গরিব-দুখীদের দুঃখ লাঘবের জন্য চাই ধনীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা, চাই মুক্তহস্তে দান। যাকাত প্রথার প্রচলন হয়েছিল মহান এই ব্রতকে সামনে রেখেই। ধনী-মুসলমানদের জন্য যাকাত দেওয়া ফরজ। নামাজ, রোযা ও হজের মতো যাকাত আদায় করাও তাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর হবে এই যাকাতের মাধ্যমে। ইসলামের এ সাম্যবাদী চরিত্রের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে কবি বলেন:
ইসলাম বলে, সকলের তরে মোরা সবাই,
সুখ-দুখ সম-ভাগ করে নেব সকলে ভাই,
নাই অধিকার সঞ্চয়ের।
ঈদ অর্থ আনন্দ। তবে নজরুল ঈদের এই আভিধানিক অর্থ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেননি তাঁর ঈদবিষয়ক কবিতাসমূহে, বরং তিনি এর মধ্যে তালাশ করেছেন এর হাকিকি অর্থ, যা-ই মূলত ধারণ করে আছে ঈদের আসল সৌন্দর্য। ঈদের প্রসঙ্গ এলেই কবি দুখী-মানুষদের নিয়ে হাজির হয়েছেন জাতির সামনে। যে-জাতির কাজই ছিলো একসময় ভুখানাঙা মানুষদের মুখে সুখের হাসি ফোটানো, সে-জাতি কী করে গরিব-দুঃখীদের উপেক্ষা করে আত্মসুখে বিভোর হয়ে থাকতে পারে, সে-কথা তিনি তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে ছাড়েন না। কৃষকপ্রজার দুর্দশার কথা তুলে ধরে কবি ক্ষোভের সাথেই বলেন:
জীবনে যাদের র্হরোজ রোজা ক্ষুধায় আসে না নিদ
মুমূর্ষু সেই কৃষকের ঘরে এসেছে কি আজ ঈদ?
এক বিন্দু দুধ নাহি পেয়ে যে খোকা মরিল তার
উঠেছে ঈদের চাঁদ হয়ে কি সে শিশু-পাজরের হাড়?
ঈদুল ফিতর উদযাপনের অধিকার তো তাদেরই বেশি, যারা এক মাস ধরে সিয়াম পালন করে মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। সিয়াম সাধনা বা রোজা রাখার অর্থই হলো উপবাস থাকা। কিন্তু জালিম-শাসকের অধীনে অসহায় প্রজাসাধারণ তো উপবাস থেকেছে সারা বছরই। কবি তাই শ্লেষের সাথে বলেন:
প্রজারাই রোজ রোজা রাখিয়াছে, আজীবন উপবাসী,
তাহাদেরই তরে এই রহমত, ঈদের চাঁদের হাসি।
কিন্তু কবি আজ শোষিত-নিপীড়িত প্রজার কণ্ঠে শুনতে পান বিপ্লবের গান। কারবালা সৃষ্টিকারী খুনী এজিদের বিরুদ্ধে তারা আজ গর্জে উঠেছে বজ্রকণ্ঠে:
শহীদ হয়েছে হোসেন, কাসেম, আজগর, আব্বাস,
মানুষ হইয়া আসিয়াছি মোরা তাঁদের দীর্ঘশ^াস!
তোমরাও ফিরে এসেছ এজিদ সাথে লয়ে প্রেত-সেনা,
সে-বারে ফিরিয়া গিয়াছিলে, জেনো, আজ আর ফিরিবে না।
এক আল্লার দৃষ্টিতে আর রহিবে না কোনো ভেদ,
তাঁর দান কৃপা কল্যাণে কেহ হবে না না-উম্মেদ্!
নজরুল-উত্তরকালে আর যাঁরা ঈদের কবিতা লিখে প্রসিদ্ধ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ফররুখ আহমদ, আ ন ম বজলুর রশীদ, সিকানদার আবু জাফর, আবুল হোসেন, তালিম হোসেন, আহসান হাবীব, সৈয়দ আলী আহসান, সানাউল হক, সুফিয়া কামাল, আজিজুর রহমান, আশরাফ সিদ্দিকী, আল মাহমুদ প্রমুখ উল্লেখযোগ্য। আধুনিককালে তো ঈদের কবিতা লেখা একটা ‘রীতি’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি বছর নতুন নতুন ঈদের কবিতা নিয়ে হাজির হচ্ছেন এ কালের কবিরা। এসব কবিতায় যেমন আছে বিচিত্র শিল্পের আনন্দ, তেমনি মানবিক আবেদনের সমাহার।
ফররুখ আহমদ তার ‘ঈদের স্বপ্ন’ কবিতায় আমাদেরকে নিয়ে যান স্বপ্নের রাজ্যেÑ
আকাশের বাঁক ঘুরে চাঁদ এলো ছবিত মতন,
নতুন কিশতি বুঝি এলো ঘুরে অজানা সাগর
নাবিকের শ্রান্ত মনে পৃথিবী কি পাঠালো খবর
আজ এ স্বপ্নের মাঠে রাঙা মেঘ হল ঘন বন!
নিবিড় সন্ধ্যার পথে সাহজাদি উতলা উন্মন,
কার প্রতীক্ষায় যেন পাঠায়েছে আলোর ইশারা;
আতরের ঘন গন্ধে মাটি চায় হাওয়ার বাঁধন।
আল মাহমুদ তাঁর ‘গৃহলতা’ কবিতায় স্মুতিকাতর হয়ে পড়েছেন তাঁর শৈশবের ঈদের কথা স্মরণ করে:
ঈদের দিনে জিদ ধরি না আর
কানে আমার বাজে না সেই
মায়ের অলঙ্কার।
কেউ বলে না খাও
পাতের ভেতর ঠাণ্ডা হলো
কোর্মা ও পোলাও।
কোথায় যেন মন চলে যায়
মেঘের ওপর ভেসে
দুয়ার ধরে দাঁড়িয়ে আছে
মাতৃছায়া এসে।
ছায়া কেবল ছায়া
ছায়ার ভেতর বসত করে
চিরকালের মায়া।
মায়ার মোহে মুগ্ধ আমি
মায়ায় ডুবে থাকি
মায়ার ঘোরে বন্দী আমি
নিজকে বেঁধে রাখি।
আল মাহমুদ বাংলা কবিতাকে যেমন নিয়ে গেছেন অনেক উচ্চতায় তেমনি ঈদকেও তিনি কবিতায় দান করেছেন এক নতুন মাত্রা। তাই তিনি এভাবে বলতে পারেন:
কোনো এক ভোর বেলা, রাত্রি শেষে শুভ শুক্রবারে
মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ;
অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে
ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ।
আরও যে কত ঈদের কবিতা রচিত হয়েছে বাংলা ভাষায় আধুনিক কালে এবং রচিত হয়ে যাচ্ছে প্রতি বছর, তার হিসেব দেওয়া অত সহজকর্ম নয়। উৎসব ছাড়া কী মানবজীবন চলে আর বাঙালীর জীবন চলে ঈদ-উৎসব ছাড়া?
আজ ঈদ আসে তেল নুন ও মসলা না দিয়েই রান্না করা গরুর গোস্তের মতো।
পুরনো পাঞ্জাবি পরে ঈদগায় গিয়ে দেখি, নতুন পোশাকে সুসজ্জিত হয়ে
ছেলেবুড়ো সকলেই ছড়াচ্ছে খুশির আভা। হৃদয়টা ছোট্ট বালকের মতো ক্ষোভে
বুকের ভেতরে শুধুই হাত-পা ছোড়াছুড়ি করে, দেখে লজ্জায় কুঁকড়ে যাই আমি।
একদিন আমাদেরও ঈদ ছিলো আমের বোলের মতো নতুন জামার গন্ধে
মৌ মৌ করা। একদিন আমাদেরও ঈদ ছিলো জনকের হাত ধরে
আতরের ঘ্রাণ ছড়াতে ছড়াতে ঢেউ ঢেউ জনস্রোতে মিশে যাওয়া।
জনক না থাকলেই অনন্ত হারায় বুঝি নতুন জামার মৌ মৌ করা বাস;
ঈদেও ভেতরে থাকে না তখন ঈদ, উৎসবে উৎসবে উৎসবহীন
কেটে যায় বারো মাস;
জীবন যখন উৎসবহীন, জীবন তখন হারায় যে তার মানে,
ফুলের ভেতরে থাকে না তখন ফুল, চাঁদে চাঁদ, গান গানে।
লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক ও অধ্যাপক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।