Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশের সর্ববৃহৎ ইতিকাফের আসর

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০২ এএম

রমজান মাসের শেষ দশ দিনে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মসজিদে ইতিকাফ করে থাকেন। ইতিকাফের ক্ষেত্রে খাবার-দাবারের ব্যবস্থা ও পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখার সুবিধার্থে সাধারণত মুসল্লিরা নিজ নিজ এলাকার নিকটস্থ জামে মসজিদগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ইতিকাফ পালিত হয় ফটিকছড়ির নানুপুর জামিয়া ইসলামিয়া ওবাইদিয়া মাদরাসা শাহী জামে মসজিদে। মাদরাসা ক্যাম্পাসে অবস্থিত ত্রিতল বিশিষ্ট এ মসজিদে প্রতি বছরের ন্যায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত দুই হাজারের অধিক মুসল্লি ইতিকাফরত আছেন। এটি সমগ্র বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ ইতিকাফের আসর বলে বিবেচিত হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রতিদিন সাহারি, ইফতারিসহ ইতিকাফকারীদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রুচিশীল ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন করে থাকে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ইতিকাফরত মুসল্লীদের সার্বিক সহযোগীতায় নিয়োজিত রয়েছে মাদরাসার ছাত্রদের নিয়ে গঠিত ৩০ সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম। নির্ধারিত স্বেচ্ছাসেবকরা ইতিকাফ নেয়া মুসল্লিদের কাপড়-চোপড় ধোয়া থেকে শুরু করে বেড বিছানা গোছানোসহ প্রয়োজনীয় সকল কাজ সম্পাদনে সাহায়তা করে থাকেন।

এদিকে দেশের সর্ববৃহৎ এ ইতিকাফের আসরে অংশ নেয়া মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও দোয়া নিতে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ নানুপুর মাদরাসায় ছুটে আসছেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িতে দিচ্ছেন। ইতিকাফকারী এক মুসল্লি জানান, সচারচর বাড়ির নিকটবর্তী মসজিদে ইতিকাফ থেকে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের। এখানে রুটিন মাফিক জীবন যাপনের যাবতীয় ট্রেনিং দেয়া হয়। ইসলামের আহকাম-আরকান শিক্ষা দেয়। বিশেষ করে- সহীহ কোরআন তেলাওয়াত, নামাজ পড়ার পদ্ধতি, দৈনন্দিন জীবনের ইসলামী ভাবধারা ও জিকির-আসকার শুদ্ধভাবে শিক্ষা দেয়া হয়। এতে আল্লাহর নৈকট্য লাভের পাশাপাশি ইসলামের অপরিহার্য বিষয়গুলো শেখার দারুন সুযোগ রয়েছে। এমন আয়োজন দেশে বিরল।

দেশের সর্ববৃহৎ এ ইতিকাফ আসরের ব্যাপারে নানুপুর মাদরাসার প্রধান পরিচালক আল্লামা শাহ মুহাম্মদ ছালাহ উদ্দীন নানুপুরী বলেন, আমাদের মুরুব্বিগণ অর্ধশত বছর আগে থেকে এটি চালু করেছেন; ইনশাআল্লাহ প্রতি বছর এর পরিধি বাড়ছে। এখন সংকুলান হয় না। এটা আল্লাহ্র পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত মনে করেই মাদরাসা কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্ররা দ্বীনি স্বার্থে এ বৃহৎ ইতিকাফকারীদের যাবতীয় জিম্মাদারী প্রাণভরা আন্তরিকতা ও খুলুসিয়তের সাথে আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ সকলের মেহনত কবুল করুক।



 

Show all comments
  • Rafiq Sikdar ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০১ এএম says : 0
    রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। ইতিকাফ ইবাদত হলেও এর নানাবিধ উপকারিতা রয়েছে। যার তাৎক্ষণিক প্রভাব মানবজীবনে বিশাল প্রভাব ফেলে।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahjahan Miazi ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০১ এএম says : 0
    ইতিকাফের মাধ্যমে মুমিন বান্দা যাবতীয় অনর্থক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকার সুযোগ পায়। অনর্থক কথা-কাজ মুমিনের জন্য শোভনীয় নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ali Azgor ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০১ এএম says : 0
    রমজানের ইতিকাফের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক স্থাপিত হয়। আর আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন মুমিনজীবনের পরম প্রত্যাশিত বস্তু।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Julfikar Ali ৩০ এপ্রিল, ২০২২, ৫:০২ এএম says : 0
    রমজানের শেষ দশ দিনের ইতিকাফের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হচ্ছে- লাইলাতুল কদর লাভের সুযোগ। লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ