Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রেকর্ড সংখ্যক যানবাহন পারাপারের পরেও ফেরিঘাটে আটকা ১৮শ যানবাহন

ঈদকে সামনে রেখে সড়ক পথেও দক্ষিণাঞ্চলমুখি জনস্রোত শুরু

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ৮:৩৭ এএম

ঈদকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার থেকে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণÑপশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখি জনস্রোত শুরুর মুখে ফেরি সেক্টরে যানবাহন পারাপারের সংখ্যা বাড়লেও অপেক্ষমান থাকছে প্রায় দু হাজার। ফলে ফেরিঘাটগুলোতে নারী ও শিশু সহ সব বয়সী মানুষের দূর্ভোগের কোন সীমা নেই। প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে ঘরমুখি মানুষের দূর্ভোগ অনেকটা মানবিক সংকটও তৈরী করছে। বিআইডবিøউটিসি’র বহরের বিভিন্ন ধরনের ৫৪টি ফেরি’র ৪৮টি বৃহস্পতিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড সংখ্যক, ১৪ হাজার ২৮৯টি যানবাহন পারপারের পরেও বিভিন্ন সেক্টরে আটকে ছিল আরো ১ হাজার ৮শরও বেশী। আগেরদিন সংস্থাটির বহরের ৪৫টি ফেরির সাহায্যে সাড়ে ১২ হাজারের বেশী যানবাহন পারাপারের পরেও অপেক্ষমান ছিল ১ হাজার ৯৬৮টি।

ঈদকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসের আগেই মানুষ ঘরমুখি হতে শুরু করায় এবার আগেভাগেই ফেরি সেক্টরে যানজট বাড়ছে। উপরন্তু রাজধানীর সাথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সংক্ষিপ্ত সড়ক পথের মাওয়া সেক্টরে রাতে পারাপার বন্ধ সহ ১৮টির স্থলে মাত্র ৭টি ফেরি চলাচল করায় যানজট বাড়ছিল। তবে ইতোমধ্যে আরো দুটি ফেরি এ ঘাটে মোতায়েন সহ দিবারাত্রী পারাপারের নির্দেশ দেয়ায় পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে। গত ২৪ ঘন্টায় এ সেক্টরে পারাপারের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ৫শ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ২৪১ হয়েছে। অপেক্ষমান ছিল আগের দিনের মতই আড়াইশ। তবে পদ্মা পাড়ের দুটি ফেরি সেক্টরের যানবাহনের চাপে প্রতিটি গাড়ী ফেরিতে উঠতে ২-৩ ঘন্টাও সময় লাগছে। পরিস্থিতি বেশী খারাপ মাওয়া সেক্টরে। এখানে অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় শুধু পাটুরিয়া সেক্টরেই প্রায় সাড়ে ৯ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছে। যা ছিল আগের দিনের চেয়ে ১ হাজার ১শ বেশী । এ সেক্টরে ২৪টি ফেরির সবগুলোই বৃহস্পতিবার সকালে যানবাহন পারাপারে ছিল। উপরন্তু মেরামত শেষে রো-রো ফেরি ‘হজরত খাজা এনায়েতপুরী (রঃ)’ বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ পাটুরিয়াতে পৌছে বানিজ্যিক পরিচালনে যুক্ত হচ্ছে। ফলে এ সেক্টরে ২৫টি ফেরির সাহায্যে ২৪ ঘন্টায় অন্তত ১০ হাজার যানবাহন পারাপার সম্ভব হবে বলে আশা করছেন বিআইডবিøউটিসি’র দায়িত্বশীল মহল। তবে বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারাপারের পরেও বৃহস্পতিবার সকালে পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে অপেক্ষমান ছিল আগের দিনের ৭’শ স্থলে ৫৭০টি।

অপরদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের সাথে বরিশাল ও খুলনা বিভাগ সহ ফরিদপুর অঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক পথের চাঁদপুর-শরিয়তপুর সেক্টরে ৭টি ফেরিই সচল থাকায় পারাপারের সংখ্যা আগের দিনের ৭২০ থেকে ৮৬১’তে উন্নীত হলেও অপেক্ষমান ছিল ৬৮০। যা আগের দিনের চেয়ে ৪০টি কম হলেও এখনো মোট পারাপারের প্রায় ৮০ ভাগই অপেক্ষমান থাকছে। এ সেক্টরে আরো অন্তত ৩টি ফেরি মোতায়েন না করলে বর্তমান সংকট কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই।

উপকূলীয় ৩টি বিভাগের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রক্ষাকারী উপমহাদেশের দীর্ঘতম ভোলা ও ল²ীপুরের মধ্যবর্তি ইলিশাÑমজু চৌধুরীর হাট সেক্টরে গত ২৪ ঘন্টায় ৪টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে ৩৩১টি যানবাহন পারাপার হলেও অপেক্ষমান ছিল আরো ২শ। চট্টগ্রামÑবরিশালÑখুলনা মহাসড়কের প্রায় ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেক্টরে নুন্যতম ৬টি ফেরির প্রয়োজন হলেও সংস্থাটির বহরে স্বল্পতার কারণে তা সংকুলান হচ্ছে না। পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় এ সেক্টরে ৩১৭টি যানবাহন পারাপারের পরেও অপেক্ষমান ছিল ১৬৮টি। কিন্তু গত ২৪ ঘন্টায় অপেক্ষমানের সংখ্যা বেড়ে ২শতে উন্নীত হয়েছে। প্রায় একই পরিস্থিতি ঐ মহাসড়কেরই ভোলা ও বরিশালের মধ্যবর্তি লাহারহাটÑভেদুরিয়া সেক্টরেও। গত ২৪ ঘন্টায় এ সেক্টরে মাত্র ৪টি ইউটিলিটি টাইপ-১ ফেরির সাহায্যে ৪৪৮টি যানবাহন পারাপারের পরেও অপেক্ষমান ছিল আরো শতাধিক। তবে এ সেক্টরে পারাপারের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে অপেক্ষমানের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে কমেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ