পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খরতপ্ত বৈশাখের চলমান তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ, পুড়ছে মানুষ। অবিরাম তাপদহনে পুড়ে খাক হচ্ছে ফল-ফসল। রুক্ষ-রুগ্ন হয়ে উঠেছে পরিবেশ-প্রকৃতি। গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত মানুষ ও প্রাণিকুলের। মধ্য বৈশাখে সূর্যের তীর্যক কড়া দহনে খাঁ খাঁ করছে চারদিক। মাঠ-ঘাট, পুকুর-দীঘি, খাল-বিল ফেটে চৌচির।
এদিকে গতকাল আবহাওয়া বিভাগ ও বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের পূর্বাভাসে জানা গেছে, বৈশাখী রুক্ষ ও খরতপ্ত আবহাওয়ায় শিগগিরই কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আসতে চলেছে। আজ শুক্রবার থেকে ঢাকাসহ বাংলাদেশের আকাশে মেঘের আনাগোনা বাড়তে পারে। সেই সাথে স্বস্তির বৃষ্টিপাতের আবহ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আসছে ২ অথবা ৩ মে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের দিন এবং তার আগে-পরে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও বজ্রবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের ঘনঘটা দেখা দিতে পারে। এর ফলে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ প্রশমিত হয়ে আবহাওয়া সহনীয় হয়ে উঠতে পারে। ঈদের ছুটির সময়ে প্রায় দেশজুড়ে বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থা চলতে পারে আগামী ৪ বা ৫ মে পর্যন্ত। এ সময়ে বজ্র-শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি, কোথাও মাঝারি, কোথাও বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। কেটে যেতে পারে ভ্যাপসা গরমের বর্তমান অস্বস্তিকর অবস্থা। তবে এ সময়ে টানা ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা কম।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ও ২৫ এপ্রিল তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গত ৮ বছরের রেকর্ড ভেঙে গত ১৫ এপ্রিল রাজশাহীতে তাপমাত্রা উঠেছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মাঝে কয়েকদিন গুঁড়িবৃষ্টি ও বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে তাপদাহ কিছুটা বিরতি দিলেও ২২ এপ্রিল থেকে আবারও তাপমাত্রা যেন লাফিয়ে বেড়ে চলে। গতকাল সকালে ঢাকার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার হার ছিল ৯০ শতাংশ। এ কারণে গরমের অনুভূতি আরও বেড়ে গেছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ৪ মে পর্যন্ত চলতি সপ্তাহের আবহাওয়া পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ ড. মো. শামীম হাসান ভ‚ঁইয়া জানান, এ সময়ের শুরুর দিকে সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় (৫০ থেকে ৭৫ ভাগ এলাকা) এবং দেশের অন্যত্র দুয়েক জায়গায় (২৫ শতাংশের কম এলাকা) অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি ও বিচ্ছিন্নভাবে দেশের কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ের শেষের দিকে সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর, ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় (৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ এলাকা) এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় (২৫ থেকে ৫০ শতাংশ এলাকা) অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি ও বিচ্ছিন্নভাবে দেশের কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময়ে সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
হাওরে নদ-নদী পরিস্থিতি : পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভ‚ঁইয়া দেশের উত্তর-পূর্বের হাওর অঞ্চলের নদ-নদীসমূহের পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস সম্পর্কে জানান, এ অঞ্চলের নদ-নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর সংলগ্ন উজানের ভারতীয় স্থানসমূহে (আসামের বরাক অববাহিকা, মেঘালয় ও ত্রিপুরা) ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল হাওর অঞ্চলে নদ-নদী প্রবাহের অবস্থা সম্পর্কে জানা গেছে, পাউবোর পর্যবেক্ষণাধীন ৩৯টি স্টেশনের মধ্যে মাত্র দু’টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৩৬টিতে হ্রাস পায়। একটি পয়েন্টে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।