Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঘরমুখো মানুষের ঢল, বহরে যুক্ত হয়েছে ফেরি এনায়েতপুরী

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ৬:০৯ পিএম

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি নৌরুটে ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে শিমুলিয়া ঘাটে। ঈদযাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে অনেকে আগেভাগেই এ নৌরুটে গ্রামের পথে ছুটছেন মানুষ। সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হতে শুরু করেন। পরে তারা ফেরি বা লঞ্চে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ভিড়ও বাড়তে শুরু করেছে।

তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় ঘাটে যানবাহন নিয়ে দীর্ঘ সময় তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।
শিমুলিয়া-মাঝিকান্দির সঙ্গে এবার শিমুলিয়া- বাংলাবাজার নৌরুটে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা ফেরি চালু হওয়ায় যানবাহন পারাপারে গতি বেড়েছে। দিনে ১০ ফেরি চলাচল করছে এবং রাতে চলাচল করছে ৭টি ফেরি। ফলে রাতের বেলা আর অপেক্ষা করতে হচ্ছে না যাত্রীদের। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরকান্দি (সাত্তার মাদবর) ঘাটে নতুন আরেকটি ফেরিঘাট চালু করা হয়েছে। বুধবার থেকে নতুন ঘাটটিতে যানবাহন নিয়ে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান,যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিরকান্দি নৌরুটে ফেরি কুঞ্জলতা, ক্যামেলিয়া, বেগম সুফিয়া কামাল, বেগম রোকেয়া, ক্যামেলিয়া, ফেরি কুমিল্লা ও ফেরি এনায়েতপুরী এ মোট সাতটি ফেরি ২৪ ঘণ্টাই চলছে। আর ফেরি কর্ণফুলী, রায়পুরা ও রাণীগঞ্জ শুধু দিনে চলাচল করছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) শিমুলিয়া ঘাটে সকাল থেকেই যানবাহনের উপস্থিতি বেশি দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘাটে কিছুটা যানবাহনের চাপ কমতে থাকে। তবে সকাল থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে যাত্রী উপস্থিতি বেড়েই চলেছে।
সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হতে শুরু করেন। পরে তারা ফেরি বা লঞ্চে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়তে শুরু করেছে। কর্মস্থল ছুটি হলে আজ বিকেল থেকে ঘাটে চাপ বাড়তে পারে আরো কয়েকগুণ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাটে পার্কিং ইয়ার্ডে সকাল ১০টার দিকে ব্যক্তিগত শতাধিক গাড়ির সারি দেখা গেছে দুপুর ১টার পরে ঘাট এলাকা একেবারে যানবাহন শূন্য হয়ে যায়। তবে সকালে গত কয়েকদিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিলো। পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী ফেরি দিয়ে এসব ব্যক্তিগত ও হালকা যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
পিকআপ-মিনি কাভার্ডভ্যান পারাপার বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও ঘাট এলাকায় অপেক্ষায় রয়েছে এ ধরনের যানবাহন। তবে পর্যায়ক্রমে পারাপারে সকাল ১১ টার পর থেকে ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমে আসে।

লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে দেখা যায়, যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় অব্যাহত রয়েছে। গত কালের তুলোনায় কয়েকগুণ বেড়েছে উপস্থিতি। অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে স্পিডবোট চলাচল করছে।
এদিকে ঈদ যাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে বেলা ১১টার দিকে ফেরিটি শিমুলিয়াঘাটে এসে বহর যুক্ত হয় রোরো ফেরি এনায়েতপুরী। এতে বর্তমানে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি নৌরুটে বহরে ফেরি সংখ্যা ১০টিতে দাঁড়ালো। আজ দুপুর ১টার দিকে ফেরিটি দিয়ে যানবাহন পারাপার শুরু হয়। এনিয়ে গত তিনদিনে যুক্ত হলো তিনটি ফেরি। এর আগে গত মঙ্গলবার মিনি রোরো ফেরি বেগম রোকেয়া ও বুধবার ছোট ফেরি ফরিদপুর বহরে যুক্ত হয়।

বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল আমাদের ৯টি ফেরি ছিল। আজ ১ টি যুক্ত হয়েছে। আশা করছি ১০টি ফেরি দিয়ে সব যাত্রীকে সুন্দরভাবেই পারাপার করতে পারবো। যেহেতু বাস-ট্রাক শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিরকান্দি রুটে পারাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রাইভেটকার, মাইক্রো এসব গাড়ি পারাপার হবে। যাত্রীরা যদি লঞ্চ ব্যবহার করে এবং ছোট গাড়িগুলো আমরা ফেরিতে পারাপার করি সেক্ষেত্রে ঘরমুখো মানুষকে সুন্দরভাবে পারাপার করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, দিনের বেলা ১০টি ও রাতে সাতটি ফেরি চলাচল করতে পারবে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমাদের মাস্টার আছে, মেরিন বিভাগ আছে, সেনাবাহিনী আছে, বিআইডাব্লিউটিএ আছে। সবাই মিলে সোচ্চার আছি। সতর্কতার সঙ্গে ফেরি চালানো হবে। যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে।

বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক মো. সোলেইমান জানান, বৃহস্পতিবার ৫টি লঞ্চ ও ৩টি স্পিডবোট বেড়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি দুই নৌরুটে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫ স্পিডবোট সচল রয়েছে।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ