Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

নোয়াখালীর কবিরহাটে ভিজিএফের ৪০বস্তা চাল তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ৬:০৩ পিএম

কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে সরকারের বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির গায়েব হওয়া ৪০বস্তা চাল তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় ইউপি সচিবের দায়ের করা মামলায় গ্রাম পুলিশ (চোকিদার) মো. হারুনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে ঘটনার জন্য চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশ উভয় পক্ষ একে অন্যকে এখনও দায়ি করছেন।

ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলা থাকায় চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুল মামুন।

জানা গেছে, গত সোমবার সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে বাটইয়া ইউনিয়নের দুস্থদের জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির ৪২০ বস্তা (২হাজার কেজি) চাল উত্তোলন করা হয়। রাতে চালের বস্তাগুলো ইউপি কার্যালয়ে রাখা হয়। পরদিন দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণের সময় বস্তা কম দেখে সন্দেহ হলে গণনা করে ৪০বস্তা চাল কম পাওয়া যায়, যার বাজার মূল্য ৯৪হাজার ৫৩৯টাকা। এরপর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়। ঘটনার জন্য ইউপি কার্যালয়ের গ্রাম পুলিশ হারুন ও চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন একে-অন্যকে দায়ি করেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি বিষয়টি প্রাথমিক তদন্ত করে ছকিদার হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পান। এ ঘটনায় বাটইয়া ইউপি সচিব মো. আবদুল কাইয়ুম বাদি হয়ে বুধবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ভিত্তিতে রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ হারুনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে। তবে ঘটনার ৩দিন অতিবাহিত হলেও গায়েব হওয়া চালগুলো এখনও উদ্ধার হয়নি।

হারুনের পরিবারের দাবি, গ্রাম পুলিশ মো. হারুনকে ফাঁসিয়ে দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন নিজের অপরাধ আড়াল করছেন। নিরপরাধ হারুনের মুক্তি দাবি করেছেন তার পরিবার।

চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন বলেন, তার কোন লোক চাল আত্মসাতের সাথে জড়িত নয়। তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে একটি চক্র এ চেষ্টা করছে। হারুন খাদ্যগুদামের লোকজনের সাথে যোগসাজস করে গুদাম থেকেই ৪০বস্তা চাল সরিয়ে আত্মসাৎ করেছে।

কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুল মামুন জানান, এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দায়িত্ব অবহেলার কারনে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। চাল সরানোর ঘটনায় হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিক প্রমানিত হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ