Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গফরগাঁও বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল উধাও,

গফরগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ৫:২৩ পিএম

উপজেলাসদরসহ ১৫টি ইউনিয়নের হাট-বাজার থেকে হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। অভিযোগ উঠেছে, বোতলজাত সয়াবিন তেল ভেঙে কেজি দরে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। আবার কিছু দোকানে প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেল কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা।ঈদের আগে প্রিয়জনের জন্য পোশাক কিনতে ক্রেতারা যখন বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় করছেন, তখন গফরগাঁও উপজেলার রসুলপুর গ্রামের বেসরকারি চাকরিজীবী মোঃ কামরুল হাসান সয়াবিন তেল কিনতে দোকানে দোকানে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পাঁচ লিটার তেলের বোতল কেনার জন্য শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় দোকানে দোকানে ঘুরলাম, কিন্তু তেল কিনতে পারিনি। পরিচিত এক দোকানির কাছে অনুরোধ করে এক লিটার তেল কিনে এখন বাড়ি ফিরছি।’ কামরুল হাসানের মতো শত শত ক্রেতা গত কয়েক দিন ধরে ঘুরে ঘুরেও তেল কিনতে পারেননি। ঈদ যত এগিয়ে আসছে, সংকটও তত বাড়ছে।ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি কেজি তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রি করছেন সয়াবিন তেল। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট দেখিয়ে হঠাৎ করেই দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের আগে চাহিদা বাড়লেও তেল আমদানিকারী কোম্পানিগুলো সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।

গফরগাঁও বুধিয়া মার্কেটের (শাহ মিসকিন রোড) বিশিষ্ট মনিহারি দোকান মামুন ষ্টোরের মালিক মোঃ মামুন জানান, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কোম্পানিগুলো এখন অর্ধেক তেল সরবরাহ করছে। অথচ ঈদের আগে চাহিদা বেড়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ধরনা দিয়েও চাহিদামতো বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে দিঘীরপাড় গ্রামের মোঃ ফয়জুল্লাহ জানান, ঈদ এবং আগামী এক মাসের জন্য আট লিটার সয়াবিন তেল প্রয়োজন। গত দুই দিন গফরগাঁও মধ্য বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরেও এক বোতল তেল কিনতে পারিনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৮এপ্রিল) এক পরিচিত দোকানিকে অনুরোধ করে ১০০০ টাকায় ৫ লিটারের এক বোতল তেল কিনেছি।

পল্লী এলাকার এক খুচরা ব্যবসী জানান, পাইকারি বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না বলে ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। বোতলজাত তেলের সংকট থাকলেও খোলা তেলের সংকট নেই।

এ ব্যাপারে সিটি গ্রুপেরএকজন বিক্রয় প্রতিনিধি (নাম প্রকাম না করার শর্তে) জানান, তাঁর কর্ম এলাকায় স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২০ কেস তেলের প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন কোম্পানি এ চাহিদা পূরণ করে। হঠাৎ করে খোলা তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশির ভাগ কোম্পানি বোতলজাত তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণেই সংকট তৈরি হয়েছে।


গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবিদুর রহমান জানান, সয়াবিন তৈলসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রি যাতে মুল্য কম থাকে এ ব্যাপারে গফরগাঁও বাজারসহ অন্যান্য বাজারে মনিটরিং করা হবে । কঠোরভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্ঠা করবো ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ